লাইফস্টাইল ডেস্ক: যারা ওজন কমাতে চান, তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে এক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ৩ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তায়
প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তা দিয়ে দিন শুরু করেন তা সারাদিনের শক্তি জোগাতে কাজ করে। প্রোটিনের কারণে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, যার ফলে পরে বেশি খাওয়ার ভয় থাকে না। ডিম, টক দই এবং ফলের সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের নাস্তায় প্রোটিন খেলে তা বিপাকীয় কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে, একইসঙ্গে শরীরের টিস্যুতে চর্বি ভাঙন ত্বরান্বিত করে। স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত রাখে।
পর্যাপ্ত হাইড্রেশন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সাহায্য করবে। মানবদেহ তার বিপাকীয় হার বাড়াতে পানি ব্যবহার করে, যার ফলে ক্যালোরি পোড়ানোর দক্ষতা উন্নত হয়। খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে তা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। হাইড্রেশন ভালো হজম করতে সাহায্য করে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে। আপনার প্রতিদিনের পানি গ্রহণ ৮ গ্লাসে পৌঁছানো উচিত, অন্যদিকে ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে সমস্ত চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে কেবল বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত।
নিয়মিত ব্যায়াম
শারীরিক ব্যায়াম ওজন কমানোর জন্য একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে কাজ করে, সেইসঙ্গে সুস্থতা বজায় রাখে। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ দীর্ঘ জিম সেশনের প্রয়োজন ছাড়াই ওজন হ্রাস করে। জাম্পিং জ্যাক এবং প্ল্যাঙ্কের মতো ঘরোয়া ব্যায়াম, হাঁটা এবং সাইকেল চালানো, পেশী ভর তৈরি করার সময় ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। সকালের ব্যায়াম সারা দিন রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এসি/আপ্র/০২/১০/২০২৫