আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেবু দ্বীপের হাসপাতালগুলিতে আহত রোগীরা ভিড় জমাচ্ছেন। সেখান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে বোগো এলাকার কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর আরও কয়েক দফা আফটারশক অনুভূত হয়েছে। ফলে আরও ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় লোকজনকে বিভিন্ন ভবন থেকে বের করে আনা হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স অফিসের ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো বলেন, এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আমরা বহু হতাহতের খবর পাচ্ছি।
বোগো এবং সেবু ছাড়াও একাধিক শহর ও পৌরসভায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে এসব শহরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর সেবু প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সেখানকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, সান রেমিজিও পৌরসভাতেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকজন আটকা পড়ায় উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি। সংস্থাটি জানায়, সমুদ্রপৃষ্ঠে সামান্য পরিবর্তন হলেও এর প্রভাব কেটে গেছে।
টেডি ফন্টিলাস (৫৬) নামের এক উদ্ধারকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তিনি এক পলকের জন্যও ঘুমাননি। তিনি আরও বলেন, উপচে পড়া ভিড়ের কারণে কিছু রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়েছে।
গুরুতর আহত রোগীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা কর্মীরা হাসপাতালের বাইরেও অনেকের চিকিৎসা করছেন। সেবুর প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাদেশিক উদ্ধার কর্মকর্তা উইলসন রামোস এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে বহু মানুষ আটকা থাকতে পারেন। অন্ধকার ছাড়াও আফটারশকের কারণে রাতভর উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।
এসি/আপ্র/০১/১০/২০২৫