ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী রোববার প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এই দিনটিকে ‘বিমান বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৭১ সালে দেশের আপামর জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিমান বাহিনীর অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আব্দুল করিম খন্দকার, বীর উত্তম মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করেন। সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিমানবাহিনীর সাহসী সদস্যরা সেক্টর কমান্ডারের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও, এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ (অব.) বীর উত্তম, কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন।

রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিমান বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। আর এ লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অটার বিমান, একটি ড্যাকোটা বিমান ও একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এবং বাঙালি বৈমানিক, কারিগরি পেশার বিমানসেনা ও বেসামরিক বৈমানিকসহ ৫৭ জন সদস্য নিয়ে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী যাত্রা শুরু করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫০টিরও অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনার মাধ্যমে ‘কিলো ফ্লাইট’ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।

এই দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর সব ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কন্টিনজেন্টগুলোতে বিমানবাহিনীর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, তেজগাঁও-এ ঢাকা এলাকার বিমান বাহিনীর সব সদস্য ও প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধানদের উপস্থিতিতে সমন্বিত প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

এসি/আপ্র/২৮/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্ভুক্তিমূলক থেকে সরে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী রোববার প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এই দিনটিকে ‘বিমান বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৭১ সালে দেশের আপামর জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিমান বাহিনীর অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আব্দুল করিম খন্দকার, বীর উত্তম মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করেন। সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিমানবাহিনীর সাহসী সদস্যরা সেক্টর কমান্ডারের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও, এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ (অব.) বীর উত্তম, কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন।

রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিমান বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। আর এ লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অটার বিমান, একটি ড্যাকোটা বিমান ও একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এবং বাঙালি বৈমানিক, কারিগরি পেশার বিমানসেনা ও বেসামরিক বৈমানিকসহ ৫৭ জন সদস্য নিয়ে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী যাত্রা শুরু করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫০টিরও অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনার মাধ্যমে ‘কিলো ফ্লাইট’ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।

এই দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর সব ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কন্টিনজেন্টগুলোতে বিমানবাহিনীর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, তেজগাঁও-এ ঢাকা এলাকার বিমান বাহিনীর সব সদস্য ও প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধানদের উপস্থিতিতে সমন্বিত প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

এসি/আপ্র/২৮/০৯/২০২৫