ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অবশেষে এশিয়া কাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

  • আপডেট সময় : ১২:০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক: ১৯৮৪ সালে প্রথম এশিয়া কাপ হওয়ার পর কেটে গেছে ৪১ বছর। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান, প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনালে মুখোমুখি দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ফাইনালের আগে দুইবার লড়াই হয়েছে দুই দলের, প্রতিবারই সহজ জয় পেয়েছে ভারত। তবে ক্রিকেটের চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে করমর্দন না করা, উত্তপ্ত বাক্য বিনিমিয় আর উসকানিমূলক সব অঙ্গভঙ্গি! যার পেছনে রয়েছে চলতি বছরের শুরুতে দুই দেশের সামরিক সংঘাত।

রোববারের ফাইনাল তাই শুধু আরেকটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নয়। ম্যাচটা শুরু হবে আজ রাত সাড়ে ৮টায়। দেখাবে টি স্পোর্টস।

অবশ্য দুই দলের মাঠের এমন যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পেছনে আছে রাজনৈতিক চাপানউতোর, যা মাঠের বাইরেও টেনে এনেছে বিতর্ক। ভারতীয় দলের সরকারি নির্দেশ মেনে পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে চলা থেকে শুরু, এরপর একের পর এক আইসিসি শুনানি আর আর্থিক জরিমানা—সব মিলিয়ে পরিবেশটা রীতিমতো উত্তপ্ত। তবে গ্রুপ পর্বের দুই জয় মূল্যহীন হয়ে যাবে যদি রোববার সুর্যকুমার যাদবের দল হেরে বসে। বিশেষত তিনি যখন বলেই ফেলেছেন, ‘এটা আর কোনও দ্বৈরথ নয়’, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ফলাফলের আধিপত্য ভারতের পক্ষেই। সেই কথাই এবার তাদের ওপর চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পাকিস্তানের জন্য এই শিরোপা হবে সাম্প্রতিক হতাশাজনক ইতিহাস ঢাকার মোক্ষম সুযোগ। ভারতের বিপক্ষে তাদের রেকর্ডও বলছে অনেক কিছু—১৫ টি-টোয়েন্টিতে ১২ হার। এশিয়া কাপের সামগ্রিক চিত্রেও খুব পিছিয়ে তারা: পাকিস্তান শিরোপা জিতেছে মাত্র দু’বার, যেখানে ভারত ৮ আর শ্রীলঙ্কা ৬ বার।

তবু সালমান আগার দল এবারের আসরে ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ম্যাচে চরম বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফাইনালের টিকিট কাটে। এবার যদি ভারতের বিপক্ষে এই মঞ্চে জিততে পারে, তাহলে সাম্প্রতিক হতাশার কালো মেঘ কেটে যাবে। কিন্তু হেরে গেলে—বিশেষত একই টুর্নামেন্টে তিনবার ভারতের কাছে হেরে গেলে—সেটি কোনওভাবেই ইতিবাচক ধরা যাবে না।

দর্শক আগ্রহের দিক থেকেও এই ফাইনাল আলাদা। দু’টি নিষ্প্রাণ রোববারের পর এবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম ভরপুর দর্শক টানবে বলেই আশা আয়োজকদের। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ইতোমধ্যে জানিয়েছে, টিকিট বিক্রি কার্যত শেষ। এখন শুধু মাঠের ক্রিকেট সেই প্রত্যাশা পূরণ করে কি না, সেটাই দেখার।

এসি/আপ্র/২৮/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে এশিয়া কাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

আপডেট সময় : ১২:০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ১৯৮৪ সালে প্রথম এশিয়া কাপ হওয়ার পর কেটে গেছে ৪১ বছর। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান, প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনালে মুখোমুখি দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ফাইনালের আগে দুইবার লড়াই হয়েছে দুই দলের, প্রতিবারই সহজ জয় পেয়েছে ভারত। তবে ক্রিকেটের চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে করমর্দন না করা, উত্তপ্ত বাক্য বিনিমিয় আর উসকানিমূলক সব অঙ্গভঙ্গি! যার পেছনে রয়েছে চলতি বছরের শুরুতে দুই দেশের সামরিক সংঘাত।

রোববারের ফাইনাল তাই শুধু আরেকটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নয়। ম্যাচটা শুরু হবে আজ রাত সাড়ে ৮টায়। দেখাবে টি স্পোর্টস।

অবশ্য দুই দলের মাঠের এমন যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পেছনে আছে রাজনৈতিক চাপানউতোর, যা মাঠের বাইরেও টেনে এনেছে বিতর্ক। ভারতীয় দলের সরকারি নির্দেশ মেনে পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে চলা থেকে শুরু, এরপর একের পর এক আইসিসি শুনানি আর আর্থিক জরিমানা—সব মিলিয়ে পরিবেশটা রীতিমতো উত্তপ্ত। তবে গ্রুপ পর্বের দুই জয় মূল্যহীন হয়ে যাবে যদি রোববার সুর্যকুমার যাদবের দল হেরে বসে। বিশেষত তিনি যখন বলেই ফেলেছেন, ‘এটা আর কোনও দ্বৈরথ নয়’, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ফলাফলের আধিপত্য ভারতের পক্ষেই। সেই কথাই এবার তাদের ওপর চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পাকিস্তানের জন্য এই শিরোপা হবে সাম্প্রতিক হতাশাজনক ইতিহাস ঢাকার মোক্ষম সুযোগ। ভারতের বিপক্ষে তাদের রেকর্ডও বলছে অনেক কিছু—১৫ টি-টোয়েন্টিতে ১২ হার। এশিয়া কাপের সামগ্রিক চিত্রেও খুব পিছিয়ে তারা: পাকিস্তান শিরোপা জিতেছে মাত্র দু’বার, যেখানে ভারত ৮ আর শ্রীলঙ্কা ৬ বার।

তবু সালমান আগার দল এবারের আসরে ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ম্যাচে চরম বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফাইনালের টিকিট কাটে। এবার যদি ভারতের বিপক্ষে এই মঞ্চে জিততে পারে, তাহলে সাম্প্রতিক হতাশার কালো মেঘ কেটে যাবে। কিন্তু হেরে গেলে—বিশেষত একই টুর্নামেন্টে তিনবার ভারতের কাছে হেরে গেলে—সেটি কোনওভাবেই ইতিবাচক ধরা যাবে না।

দর্শক আগ্রহের দিক থেকেও এই ফাইনাল আলাদা। দু’টি নিষ্প্রাণ রোববারের পর এবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম ভরপুর দর্শক টানবে বলেই আশা আয়োজকদের। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ইতোমধ্যে জানিয়েছে, টিকিট বিক্রি কার্যত শেষ। এখন শুধু মাঠের ক্রিকেট সেই প্রত্যাশা পূরণ করে কি না, সেটাই দেখার।

এসি/আপ্র/২৮/০৯/২০২৫