ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারত প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অনমনীয়তার পরিচয় দিয়েছেন : মাহমুদুর রহমান

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার নানান ব্যর্থতা থাকলেও ভারতের বিষয়ে তিনি গত ১৩ থেকে ১৪ মাসে অনমনীয়তার পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর স্ট্র‍্যাটেজিক অ্যান্ড পিস স্টাডিজ (সিএপিএস) কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই ডক্টর ইউনুসের সমালোচনা করে থাকেন। সমালোচনা করার জন্য অনেক যুক্তিও রয়েছে। কিন্তু এভাবে কোন সরকার প্রধান কখনো ভারতের বিপক্ষে প্রকাশ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াননি, এই প্রশংসাটা আমি করবো। তিনি মোদির সামনে বলেছেন যে, আপনি কবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবেন। প্রধান উপদেষ্টার অন্যান্য ফেইলিওর থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের বিষয়ে তিনি গত ১৩-১৪ মাসে অনমনীয়তার পরিচয় দিয়েছেন।

প্রধান অতিথি বলেন, জুলাই বিপ্লব এখনো পুরোপুরি সফল হয়নি। যার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল, সেই শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনবরত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। ভারত তাকে সমর্থন করছে, তার মানে হলো ভারত এখনো আমাদের স্বাধীনতা মানতে পারেনি। দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেনি। জামায়াত কিংবা বিএনপি কেউই ভারতের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত অবস্থান নিতে পারেনি। এনসিপির কিছু কিছু তরুণ নেতা অবস্থান নিয়েছেন, ফলে আমি তরুণদের প্রতি আস্থা রাখছি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনটা হওয়া দরকার। নির্বাচন না হলে ভারত বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করবে। আর নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হতে হবে। নির্বাচনের আগে ভারত থেকে যে থ্রেট আসবে, সেটা মোকাবিলা করতে আমাদের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বাড়াতে হবে এবং ডিপ্লোমেটিক স্ট্র‍্যাটেজি গ্রহণ করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে থাকে, তারা জাতির মেরুদন্ড তাহলে শেখ হাসিনা যখন দিল্লির কাছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিল, তখন আপনারা কি করেছিলেন? কেন পারেননি? আপনারা হয়ত বলবেন আমার চাকরি থাকতো না বা আমার সমস্যা হতো। অথচ আপনি যখন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছেন, তখন আপনি শপথ নিয়েছেন যে আপনি দেশের স্বাধীনতারক্ষা করবেন। সুতরাং এই কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি সেনাবাহিনী চাই, যারা কোনো লোভ বা ভয়ের নিকট মাথা নত করবে না।

তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের দুটো প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল। একটি ছিল অভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষ যা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিম। আর বাইরের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। কারণ শেখ হাসিনা পনেরো বছর ধরে যে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল, তা সম্ভব হয়েছিল ভারতের সমর্থনের কারণে। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণরা অসামান্য সাহস দেখিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার এবং ভারতের বিপক্ষে বিপ্লব করেছিল, আর এরাই এখন দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সিএপিএসের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মো. জাকারিয়া হোসেন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া প্রমুখ।

এসি/আপ্র/২৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারত প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অনমনীয়তার পরিচয় দিয়েছেন : মাহমুদুর রহমান

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার নানান ব্যর্থতা থাকলেও ভারতের বিষয়ে তিনি গত ১৩ থেকে ১৪ মাসে অনমনীয়তার পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর স্ট্র‍্যাটেজিক অ্যান্ড পিস স্টাডিজ (সিএপিএস) কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই ডক্টর ইউনুসের সমালোচনা করে থাকেন। সমালোচনা করার জন্য অনেক যুক্তিও রয়েছে। কিন্তু এভাবে কোন সরকার প্রধান কখনো ভারতের বিপক্ষে প্রকাশ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াননি, এই প্রশংসাটা আমি করবো। তিনি মোদির সামনে বলেছেন যে, আপনি কবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবেন। প্রধান উপদেষ্টার অন্যান্য ফেইলিওর থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের বিষয়ে তিনি গত ১৩-১৪ মাসে অনমনীয়তার পরিচয় দিয়েছেন।

প্রধান অতিথি বলেন, জুলাই বিপ্লব এখনো পুরোপুরি সফল হয়নি। যার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল, সেই শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনবরত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। ভারত তাকে সমর্থন করছে, তার মানে হলো ভারত এখনো আমাদের স্বাধীনতা মানতে পারেনি। দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেনি। জামায়াত কিংবা বিএনপি কেউই ভারতের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত অবস্থান নিতে পারেনি। এনসিপির কিছু কিছু তরুণ নেতা অবস্থান নিয়েছেন, ফলে আমি তরুণদের প্রতি আস্থা রাখছি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনটা হওয়া দরকার। নির্বাচন না হলে ভারত বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করবে। আর নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হতে হবে। নির্বাচনের আগে ভারত থেকে যে থ্রেট আসবে, সেটা মোকাবিলা করতে আমাদের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বাড়াতে হবে এবং ডিপ্লোমেটিক স্ট্র‍্যাটেজি গ্রহণ করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে থাকে, তারা জাতির মেরুদন্ড তাহলে শেখ হাসিনা যখন দিল্লির কাছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিল, তখন আপনারা কি করেছিলেন? কেন পারেননি? আপনারা হয়ত বলবেন আমার চাকরি থাকতো না বা আমার সমস্যা হতো। অথচ আপনি যখন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছেন, তখন আপনি শপথ নিয়েছেন যে আপনি দেশের স্বাধীনতারক্ষা করবেন। সুতরাং এই কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি সেনাবাহিনী চাই, যারা কোনো লোভ বা ভয়ের নিকট মাথা নত করবে না।

তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের দুটো প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল। একটি ছিল অভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষ যা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিম। আর বাইরের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। কারণ শেখ হাসিনা পনেরো বছর ধরে যে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল, তা সম্ভব হয়েছিল ভারতের সমর্থনের কারণে। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণরা অসামান্য সাহস দেখিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার এবং ভারতের বিপক্ষে বিপ্লব করেছিল, আর এরাই এখন দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সিএপিএসের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মো. জাকারিয়া হোসেন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া প্রমুখ।

এসি/আপ্র/২৭/০৯/২০২৫