ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছাড়ালো ৭ হাজার

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বরগুনা সংবাদদাতা: ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করায় বরগুনায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বরগুনাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করেছে। গত মে ও জুন মাসে দৈনিক ৮০-৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও, আগস্টে সংখ্যা কিছুটা কমেছিল। তবে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এসে তা আবার বাড়ছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেই নতুন করে ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৩ জন। এছাড়া জেলার অন্যান্য হাসপাতালে নতুন ১৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বেতাগী ও আমতলীতে ২ জন করে, বামনায় ৪ জন, তালতলীতে ৫ জন এবং পাথরঘাটায় ৭ জন রয়েছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭ জন। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৯০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন এবং পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্তত ৪০ জন রোগীর দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার পর পাথরঘাটা উপজেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত ৬০৩ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হয়েছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মো. আশিকুর রহমান বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকৃত মৌসুমের আগেই আক্রান্তের হার বেড়েছিল। নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকে। বর্তমানে বৃষ্টি এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা কমে যাওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে সকলের সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল সেপ্টেম্বরেই রোগীর সংখ্যা কমে যাবে, কিন্তু এখন আবার ৮০-১০০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ পর্যাপ্ত আছে। তবে সিবিসি পরীক্ষার রিএজেন্টের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছাড়ালো ৭ হাজার

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বরগুনা সংবাদদাতা: ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করায় বরগুনায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বরগুনাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করেছে। গত মে ও জুন মাসে দৈনিক ৮০-৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও, আগস্টে সংখ্যা কিছুটা কমেছিল। তবে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এসে তা আবার বাড়ছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেই নতুন করে ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৩ জন। এছাড়া জেলার অন্যান্য হাসপাতালে নতুন ১৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বেতাগী ও আমতলীতে ২ জন করে, বামনায় ৪ জন, তালতলীতে ৫ জন এবং পাথরঘাটায় ৭ জন রয়েছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭ জন। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৯০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন এবং পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্তত ৪০ জন রোগীর দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার পর পাথরঘাটা উপজেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত ৬০৩ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হয়েছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মো. আশিকুর রহমান বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকৃত মৌসুমের আগেই আক্রান্তের হার বেড়েছিল। নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকে। বর্তমানে বৃষ্টি এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা কমে যাওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে সকলের সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল সেপ্টেম্বরেই রোগীর সংখ্যা কমে যাবে, কিন্তু এখন আবার ৮০-১০০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ পর্যাপ্ত আছে। তবে সিবিসি পরীক্ষার রিএজেন্টের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫