ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আ. লীগ ধরলেই পুরস্কার: যা বললো পুলিশ

  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরতে পারলেই পুলিশ সদস্যদের ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে—এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে নির্দিষ্টভাবে এমন কোনো পুরস্কারের কথা জানে না ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো সদস্য ভালো কাজ করলে আমরা উৎসাহিত করি। আইনগতভাবে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার বিধান রয়েছে। তবে বিশেষভাবে কোনো একটি বিষয়ে কাজের জন্য পুরস্কৃত করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেকোনো সময় ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করার নিয়ম আমাদের আছে এবং তা আমরা পালন করি।

তিনি জানান, রাজধানীতে ডিএমপির ৬ শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় স্থানীয় উদ্যোগে আরো প্রায় ১ হাজার ২০০ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি ক্যামেরা রাজধানীতে কার্যকর আছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ক্যামেরার আওতা আরো বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদপুরের এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ডিএমপির থানা, ফাঁড়ি বা ডিভিশনে যতগুলো ইউনিট রয়েছে, তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিদর্শন ও তাদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রায়শই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান। গত শুক্রবার একইভাবে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) যান এবং সেখানে গিয়ে ফোর্স এবং অফিসারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এক পর্যায়ে তিনি কিছু পুলিশ সদস্যের কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে বিকাল বেলা মোহাম্মদপুরের জোনের এসি, মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শক (অপারেশনস) ও তখনকার ডিউটি অফিসারকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এটা নিতান্তই প্রশাসনিক কারণে। এটা নিয়ে অন্য কোনো অপতথ্য ছড়ানো বা ভুল ব্যাখ্যা করার কোনো অবকাশ নেই। এটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখবো। যাতে আমাদের সদস্যরা সব সময় দায়িত্ব পালনে তৎপর ও সতর্ক থাকেন।

সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকাবাসীকে রাত ৯টার পর হাতিরঝিলে যেতে নিষেধ করেছেন। এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিএমপি দিনরাত নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা (ডিএমপি) আমাদের পক্ষ থেকে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কারো চলাচলে নিরুৎসাহিত করিনি। এটা অন্য কোনো ইউনিট করে থাকলে এটা আমার জানা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি, আপনারা নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন।

এসি/আপ্র/২১/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আ. লীগ ধরলেই পুরস্কার: যা বললো পুলিশ

আপডেট সময় : ০৪:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরতে পারলেই পুলিশ সদস্যদের ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে—এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে নির্দিষ্টভাবে এমন কোনো পুরস্কারের কথা জানে না ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো সদস্য ভালো কাজ করলে আমরা উৎসাহিত করি। আইনগতভাবে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার বিধান রয়েছে। তবে বিশেষভাবে কোনো একটি বিষয়ে কাজের জন্য পুরস্কৃত করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেকোনো সময় ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করার নিয়ম আমাদের আছে এবং তা আমরা পালন করি।

তিনি জানান, রাজধানীতে ডিএমপির ৬ শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় স্থানীয় উদ্যোগে আরো প্রায় ১ হাজার ২০০ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি ক্যামেরা রাজধানীতে কার্যকর আছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ক্যামেরার আওতা আরো বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদপুরের এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ডিএমপির থানা, ফাঁড়ি বা ডিভিশনে যতগুলো ইউনিট রয়েছে, তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিদর্শন ও তাদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রায়শই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান। গত শুক্রবার একইভাবে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) যান এবং সেখানে গিয়ে ফোর্স এবং অফিসারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এক পর্যায়ে তিনি কিছু পুলিশ সদস্যের কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে বিকাল বেলা মোহাম্মদপুরের জোনের এসি, মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শক (অপারেশনস) ও তখনকার ডিউটি অফিসারকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এটা নিতান্তই প্রশাসনিক কারণে। এটা নিয়ে অন্য কোনো অপতথ্য ছড়ানো বা ভুল ব্যাখ্যা করার কোনো অবকাশ নেই। এটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখবো। যাতে আমাদের সদস্যরা সব সময় দায়িত্ব পালনে তৎপর ও সতর্ক থাকেন।

সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকাবাসীকে রাত ৯টার পর হাতিরঝিলে যেতে নিষেধ করেছেন। এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিএমপি দিনরাত নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা (ডিএমপি) আমাদের পক্ষ থেকে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কারো চলাচলে নিরুৎসাহিত করিনি। এটা অন্য কোনো ইউনিট করে থাকলে এটা আমার জানা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি, আপনারা নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন।

এসি/আপ্র/২১/০৯/২০২৫