ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতি-হত্যাকাণ্ড ঘটেনি

  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

 আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় টানা দুই দিন সাক্ষ্য প্রদান শেষে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেছেন আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন আমির হোসেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এর আগে জবানবন্দিতে মাহমুদুর রহমান ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের শাসনামলের পটভূমি, হত্যা, গুম ও নির্যাতনের বিভিন্ন বর্ণনা দেন। বর্ণনা দেন জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুনেরও। কিন্তু রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন জেরাকালে মামুদুর রহমানের এসব বক্তব্য অসঙ্গত বলে দাবি করেন এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো দুর্নীতি কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলেও জানান।

জেরার একপর্যায়ে সাক্ষীর বক্তব্য অস্বীকার করে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলকে ১৫ বছরের ‘চরম দুর্নীতি পরায়ণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শাসন’ হিসেবে চিত্রিত করার কোনো ভিত্তি নেই। তার মতে, এ ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা বাংলাদেশে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা ও কামাল। এ কারণে তারা সবাই কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতাভুক্ত নয়। অর্থাৎ এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো অন্যায় সংঘটিত হয়নি। ফলে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলে যুক্তি দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। তাই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে নির্দেশ দেওয়া কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। অর্থাৎ যেহেতু কোনো প্রকার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, সেহেতু হত্যাকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ প্রদান বা উদ্যোগ গ্রহণ অবান্তর। এছাড়া গত ১৬ বছরে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।

‘ব্যক্তিগত জিঘাংসায়’ এই সাক্ষ্য: আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ব্যক্তিগত ‘বিদ্বেষ ও জিঘাংসার কারণে’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নও তাকে করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপারাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের একক বেঞ্চে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ হয়।
গত সোমবার এই বেঞ্চে তার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবারও দিনের প্রথমার্ধে সাক্ষ্য চলে। এরপর শুরু হয় জেরা।
‘পলাতক’ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এদিন মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যের প্রতিটি অভিযোগ ধরে ধরে সাক্ষীকে জেরা করেন আইনজীবী।
সাক্ষী মাহমুদুর রহমান নিজের লেখা কয়েকটি বইয়ের কথা সাক্ষ্যে বলেছিলেন। সেগুলো হলো- ‘হাসিনার ফ্যাসিবাদ নির্বাসন থেকে দেখা’, ‘গুমের জননী’, ‘ঞযব চড়ষরঃরপধষ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ গঁংষরস ইবহমধষ’ এবং ‘ঞযব জরংব ড়ভ ওহফরধহ ঐবমবসড়হ রহ ঝড়ঁঃয অংরধ’.
ওই বইগুলোর প্রসঙ্গ ধরে অ্যাডভোকেট আমির হোসেন জেরায় মাহমুদুর রহমানকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালো কাজগুলো উল্লেখ না করে আপনি তার প্রতি বিদ্বেষপ্রসূতভাবে বইগুলো লিখেছেন।
শেখ হাসিনার আইনজীবীর এ কথা অস্বীকার করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমার লেখা ‘দ্য রাইজ অব ইনডিয়ান হেজিমন ইন সাউথ এশিয়া’ বইটি আমার পিএইচডি থিসিস (অভিসন্দর্ভ)। পিএইচডি থিসিসে কেউ বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে লেখে না।’
এ পর্যায়ে অ্যডভোকেট আমির হোসেন বলেন, আপনি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ এবং জিঘাংসার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষী মাহমুদুর রহমান যথারীতি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

বেলা ১টা ২০ মিনিটে মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল নেমে যায়। বিকালে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। দুপুরে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে ৪৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এরপর আমাদের আরেকজন সাক্ষী আছেন নাহিদ ইসলাম। এদিন বিকালে তিনি সাক্ষ্য দেন। নাহিদ ইসলাম এ মামলার ৪৭তম সাক্ষী। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জেরা শেষে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাদের নির্দেশেও এসব হয়নি। বুধবার পৌনে ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা শুরু করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। দুপুর দেড়টায় তার জেরা শেষ হয়।

সানা/আপ্র/১৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাতক্ষীরায় পাওয়ার গ্রিডে আগুন, আড়াই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতি-হত্যাকাণ্ড ঘটেনি

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় টানা দুই দিন সাক্ষ্য প্রদান শেষে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেছেন আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন আমির হোসেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এর আগে জবানবন্দিতে মাহমুদুর রহমান ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের শাসনামলের পটভূমি, হত্যা, গুম ও নির্যাতনের বিভিন্ন বর্ণনা দেন। বর্ণনা দেন জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুনেরও। কিন্তু রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন জেরাকালে মামুদুর রহমানের এসব বক্তব্য অসঙ্গত বলে দাবি করেন এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো দুর্নীতি কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলেও জানান।

জেরার একপর্যায়ে সাক্ষীর বক্তব্য অস্বীকার করে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলকে ১৫ বছরের ‘চরম দুর্নীতি পরায়ণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শাসন’ হিসেবে চিত্রিত করার কোনো ভিত্তি নেই। তার মতে, এ ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা বাংলাদেশে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা ও কামাল। এ কারণে তারা সবাই কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতাভুক্ত নয়। অর্থাৎ এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো অন্যায় সংঘটিত হয়নি। ফলে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলে যুক্তি দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। তাই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে নির্দেশ দেওয়া কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। অর্থাৎ যেহেতু কোনো প্রকার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, সেহেতু হত্যাকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ প্রদান বা উদ্যোগ গ্রহণ অবান্তর। এছাড়া গত ১৬ বছরে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।

‘ব্যক্তিগত জিঘাংসায়’ এই সাক্ষ্য: আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ব্যক্তিগত ‘বিদ্বেষ ও জিঘাংসার কারণে’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নও তাকে করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপারাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের একক বেঞ্চে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ হয়।
গত সোমবার এই বেঞ্চে তার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবারও দিনের প্রথমার্ধে সাক্ষ্য চলে। এরপর শুরু হয় জেরা।
‘পলাতক’ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এদিন মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যের প্রতিটি অভিযোগ ধরে ধরে সাক্ষীকে জেরা করেন আইনজীবী।
সাক্ষী মাহমুদুর রহমান নিজের লেখা কয়েকটি বইয়ের কথা সাক্ষ্যে বলেছিলেন। সেগুলো হলো- ‘হাসিনার ফ্যাসিবাদ নির্বাসন থেকে দেখা’, ‘গুমের জননী’, ‘ঞযব চড়ষরঃরপধষ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ গঁংষরস ইবহমধষ’ এবং ‘ঞযব জরংব ড়ভ ওহফরধহ ঐবমবসড়হ রহ ঝড়ঁঃয অংরধ’.
ওই বইগুলোর প্রসঙ্গ ধরে অ্যাডভোকেট আমির হোসেন জেরায় মাহমুদুর রহমানকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালো কাজগুলো উল্লেখ না করে আপনি তার প্রতি বিদ্বেষপ্রসূতভাবে বইগুলো লিখেছেন।
শেখ হাসিনার আইনজীবীর এ কথা অস্বীকার করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমার লেখা ‘দ্য রাইজ অব ইনডিয়ান হেজিমন ইন সাউথ এশিয়া’ বইটি আমার পিএইচডি থিসিস (অভিসন্দর্ভ)। পিএইচডি থিসিসে কেউ বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে লেখে না।’
এ পর্যায়ে অ্যডভোকেট আমির হোসেন বলেন, আপনি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ এবং জিঘাংসার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষী মাহমুদুর রহমান যথারীতি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

বেলা ১টা ২০ মিনিটে মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল নেমে যায়। বিকালে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। দুপুরে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে ৪৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এরপর আমাদের আরেকজন সাক্ষী আছেন নাহিদ ইসলাম। এদিন বিকালে তিনি সাক্ষ্য দেন। নাহিদ ইসলাম এ মামলার ৪৭তম সাক্ষী। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জেরা শেষে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাদের নির্দেশেও এসব হয়নি। বুধবার পৌনে ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা শুরু করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। দুপুর দেড়টায় তার জেরা শেষ হয়।

সানা/আপ্র/১৭/০৯/২০২৫