লাইফস্টাইল ডেস্ক: বর্তমান যুগে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কের ধরন অনেক পাল্টে গেছে। কড়া প্যারেন্টিং এর চেয়ে এখনকার নতুন বাবা-মায়েরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বেশি কার্যকর ও স্বাস্থ্যকর মনে করছেন। কারণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শিশুর মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কিন্তু অনেকেই এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না যে, কীভাবে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু কৌশল-
১. মনোযোগ দিয়ে শুনুন
প্রথমেই দরকার সন্তানের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। প্রতিদিন কিছুটা সময় তার পড়াশোনা, বন্ধুত্ব কিংবা ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে শিশু অনুভব করবে যে, তার কথার মূল্য রয়েছে।
২. আবেগের মূল্য দিন
একই সঙ্গে সন্তানের আবেগকে খাটো না করে বরং সম্মান জানাতে হবে। সে যদি ছোট কোনো সমস্যাকেও বড় করে বলে, সেটিকে গুরুত্ব দিন।
৩. একসঙ্গে সময় কাটান
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। খাওয়ার টেবিলের গল্প, ছুটির দিনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া কিংবা বাসায় একসঙ্গে কিছু খেলা — এসব ছোট ছোট মুহূর্ত সন্তানকে অভিভাবকের আরো কাছে টেনে আনে।
৪. ধৈর্য্য নিয়ে বুঝান
সন্তানকে শাসনের পরিবর্তে বোঝানো বেশি কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সন্তানকে অতিরিক্ত কঠোর শাসনের মধ্যে বড় করেন, তারা অনেক সময় দূরত্ব তৈরি করে ফেলেন। বরং নিয়ম-কানুন ব্যাখ্যা করে বোঝানো এবং ভুল করলে ধৈর্য ধরে পথ দেখানোই সঠিক পদ্ধতি।
সন্তান যদি পরিবারকে তার নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে অনুভব করতে পারে, তাহলে সে জীবনের নানা সংকটে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে টিকে থাকতে শেখে। তাই কেবল কর্তৃত্ব ফলানোর পরিবর্তে অভিভাবককে হতে হবে সন্তানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, যে বন্ধুর কাছে নির্দ্বিধায় সব কথা বলা যায়।
সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট জার্নাল ২০২২, ইউনিসেফ প্যারেন্টিং গাইড ২০২৩
এসি/আপ্র/১৬/০৯/২০২৫