মেহেরপুর সংবাদদাতা: মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের চত্বর থেকে এক আসামিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আদালতে জামিনে মুক্তি পাওয়া নুরুজ্জামান নামে ওই আসামিকে টেনেহিঁচড়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে অপহরণকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত প্রাঙ্গণে হঠাৎ একদল লোক নুরুজ্জামানকে ঘিরে ফেলে ও বেদম মারধর করে। পরে তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তোলে। এসময় কয়েকজন স্থানীয় বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয়। এতে মুহূর্তেই আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করে। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশিতে মাইক্রোবাসটি আটক হয়। ওই গাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করা হয় ও অপহরণে জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা মেহেরপুর সদর থানা হেফাজতে রয়েছেন।
অপহৃত নুরুজ্জামানের ভাই রাজু আহমেদ জানান, নুরুজ্জামান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত আফজাল মালিথার ছেলে। তার বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের পারভেজ আশরাফ একটি মামলা করেন। মামলাটি ২৭ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন নিয়ে, যা বিদেশ গমনের জন্য নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদী পারভেজ আশরাফের দাবি, নুরুজ্জামান টাকা নেওয়ার পর বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে মেহেরপুর জজ আদালতে মামলা করা হয়।
রাজু আহমেদের দাবি, পারভেজ আশরাফ ও তার সহযোগীরা এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আদালত এক মাসের জন্য নুরুজ্জামানের জামিন মঞ্জুর করলে বাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও আদালত চত্বর থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালায় ও বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে মাইক্রোবাসসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে। নুরুজ্জামানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা প্রক্রিয়াধী।
এসি/আপ্র/১৬/০৯/২০২৫