ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় ২ বোন স্বাস্থ্য ক্যাডার

  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী

রাজবাড়ী সংবাদদাতা: প্রথমবার বি‌সিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একসঙ্গে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হয়েছেন রাজবাড়ীর শিক্ষক দম্প‌তি আক্কাস-‌শিখার দুই মেয়ে শশী ও আরশি।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৪৮তম বি‌সিএসে সহকারী সার্জন পদে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হন ডা. সিলমা সা‌রিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ। তাদের বাবা আক্কাস আলী মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্প‌তিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ৪৮তম বি‌সিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

সামা‌জিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই ভা‌গনির সফলতার কথা লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শশী ও আর‌শির মামা রাজবাড়ী সদর উপজেলা প‌রিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান র‌কিবুল হাসান পিয়াল।

তিনি লিখেছেন, ‌‘আলহামদু‌লিল্লাহ! আমার বড় বোনের দুই মেয়ে ডা. সিলমা সা‌রিকা শশী এবং ডা. সিলমা সুবহা আরশী ৪৮তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন হিসেবে চূড়ান্তভা‌বে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হয়েছে। সবার কাছে ওদের জন্য দোয়া চাই।’

শশী ও আরশি রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা এবং বালিয়াকান্দির মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে। তাদের বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানীপুরে।

খোঁজ নিয়ে জানা‌ গেছে, ২০১৫ সালে শশী ও আরশি রাজবাড়ী সরকারি বা‌লিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জি‌পিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর শশী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং আরশি ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তারা ২০২২ সালে এমবিবিএস পাস করার পর ইন্টার্নশিপ করেন। পরে তারা দুজনই ৪৮তম বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেন। তারা চূড়ান্তভাবে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

শশী ও আরশির বাবা আক্কাস আলী বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ওরা দুই বোন বড়। ছোটবেলা থেকেই ওরা খুব মেধা‌বী। একসঙ্গে দুই মেয়ে বি‌সিএসে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হওয়ায় বাবা হিসেবে যেমন গর্ব হচ্ছে, তেম‌নি আল্লাহর কাছে শুক‌রিয়া আদায় কর‌ছি। সবচেয়ে বড় কথা ওরা প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে।’

এসি/আপ্র/১৬/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চিনি খাওয়া বাদ দিলে প্রথম ৪ সপ্তাহে শরীরে যা ঘটে

প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় ২ বোন স্বাস্থ্য ক্যাডার

আপডেট সময় : ০৪:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ী সংবাদদাতা: প্রথমবার বি‌সিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একসঙ্গে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হয়েছেন রাজবাড়ীর শিক্ষক দম্প‌তি আক্কাস-‌শিখার দুই মেয়ে শশী ও আরশি।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৪৮তম বি‌সিএসে সহকারী সার্জন পদে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হন ডা. সিলমা সা‌রিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ। তাদের বাবা আক্কাস আলী মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্প‌তিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ৪৮তম বি‌সিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

সামা‌জিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই ভা‌গনির সফলতার কথা লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শশী ও আর‌শির মামা রাজবাড়ী সদর উপজেলা প‌রিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান র‌কিবুল হাসান পিয়াল।

তিনি লিখেছেন, ‌‘আলহামদু‌লিল্লাহ! আমার বড় বোনের দুই মেয়ে ডা. সিলমা সা‌রিকা শশী এবং ডা. সিলমা সুবহা আরশী ৪৮তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন হিসেবে চূড়ান্তভা‌বে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হয়েছে। সবার কাছে ওদের জন্য দোয়া চাই।’

শশী ও আরশি রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা এবং বালিয়াকান্দির মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার শিখা দম্পতির মেয়ে। তাদের বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানীপুরে।

খোঁজ নিয়ে জানা‌ গেছে, ২০১৫ সালে শশী ও আরশি রাজবাড়ী সরকারি বা‌লিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জি‌পিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর শশী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং আরশি ঢাকার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তারা ২০২২ সালে এমবিবিএস পাস করার পর ইন্টার্নশিপ করেন। পরে তারা দুজনই ৪৮তম বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেন। তারা চূড়ান্তভাবে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

শশী ও আরশির বাবা আক্কাস আলী বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ওরা দুই বোন বড়। ছোটবেলা থেকেই ওরা খুব মেধা‌বী। একসঙ্গে দুই মেয়ে বি‌সিএসে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত হওয়ায় বাবা হিসেবে যেমন গর্ব হচ্ছে, তেম‌নি আল্লাহর কাছে শুক‌রিয়া আদায় কর‌ছি। সবচেয়ে বড় কথা ওরা প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে।’

এসি/আপ্র/১৬/০৯/২০২৫