লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের আশপাশেই এমন কিছু মানুষ দেখবেন, যারা অনায়াসেই সবার বন্ধু হয়ে যান। সবার প্রিয় হয়ে ওঠার কিংবা সবাইকে অনুপ্রাণিত করার এক রকম জাদুও এই মানুষগুলোর মধ্যে আছে। কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আপনিও হয়তো ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠতে পারবেন সহজেই।
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা
এ ধরনের মানুষের মুখের কথা ও কাজে মিল থাকে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এ ধরনের মানুষেরা সহজেই অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। কারণ মানুষ তার কাছে নির্ভরতা খুঁজে পায়। কথা ও কাজে মিল না থাকলে সেই মানুষ কারো প্রিয় হতে পারে না। কারণ তার ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা না করলে, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন
আমরা সাধারণত বলতে পছন্দ করি। কিন্তু অন্যদের কথাও তো শোনা দরকার। যাঁরা অন্যের কথা মন দিয়ে শোনেন, তাদের মানুষ পছন্দ করেন। কথায় আছে, ‘কান দুইটা, মুখ কিন্তু একটা’। তাই আগে কথা শুনুন।
সহানুভূতি দেখান
অন্যের অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন। এটা তার সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে উঠবে। মানুষ তাকেই পছন্দ করেন, যাকে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন।
ভুল না করে ভুল স্বীকার করা
মানুষের ভুল হবেই। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে।
ক্রেডিট শেয়ার
অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া
অনেকেই আছে যারা অন্যের সময় নষ্ট করাকে কোনো অপরাধ বলেই মনে করে না। কিন্তু মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা যেহেতু ছোট ছোট অভ্যাসের বিষয়, তাই এই অভ্যাসও সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। জীবনে বাকি মোটামুটি সবকিছু ফেরত পাওয়া সম্ভব হলেও সময় কখনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই সময়কে কেউ গুরুত্বহীন হিসেবে দেখলে সে অন্যের কাছে প্রিয় হতে পারে না।
অন্যকে সম্মান করুন
বলা হয়, ‘সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান দিতে হয়’। তাই নিম্নপদস্থ হোক কিংবা উচ্চপদস্থ—সবাইকে সম্মান দিতে হবে। পারস্পরিক সম্মান সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়। ভাববেন না, সম্মান করলে আপনি ছোট হয়ে যাচ্ছেন। বরং এতে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে।
এসি/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫