ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

বিশ্বজুড়ে কমছে জন্মহার, তবে আতঙ্কের কিছু নেই

  • আপডেট সময় : ০১:০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে জন্মহার কমছে দ্রুতগতিতে, এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশেও এখন জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয় হারের নিচে। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বর্তমানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এমন দেশে বাস করছেন, যেখানে নারীদের গড় সন্তান জন্মদানের হার ২.১–এর নিচে। এই হারকে ধরা হয় প্রতিস্থাপন হার—যেটা একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে দরকার।

জাতিসংঘের মতে, বিশ্বের জনসংখ্যা ২০৮৪ সালে ১০.৩ বিলিয়নে পৌঁছে শীর্ষে উঠবে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই পূর্বাভাস হয়তো অতিরিক্ত আশাবাদী। বর্তমান হার চলতে থাকলে জনসংখ্যা ২০৬৫ সালেই ৯.৬ বিলিয়নে পৌঁছে এরপর কমে যেতে পারে।

কম মানুষ মানে কম কর্মী ও উদ্ভাবক, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। ছোট শহরগুলোতে স্কুল ও সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকারি ঋণের বোঝা কম মানুষের ওপর চাপবে, যাদের অনেকেই বয়স্ক।

বিভিন্ন দেশে রাজনীতিকরা জন্মহার বাড়াতে অর্থনৈতিক প্রণোদনার কথা বলছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ফার্টিলাইজেশন প্রেসিডেন্ট বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি অনুদান দিয়ে জন্মহার বাড়ানো খুব একটা কার্যকর নয়। হাঙ্গেরির মতো দেশ অনেক টাকা খরচ করেও সফল হয়নি।

আশার কথা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি দ্রুত এগোচ্ছে, যা মানবশক্তির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারবে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি দিন সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকছে।

তাছাড়া নারী ও শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টি উন্নত করলে কর্মশক্তি ধরে রাখা সম্ভব। জাপান বহু বছর ধরে জনসংখ্যা হ্রাসের মধ্যেও জীবনমান উন্নত রেখেছে।

চীন, ইউরোপ, আমেরিকায় জনসংখ্যা কমবে, আফ্রিকার অংশ বাড়বে—এটি একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। বিশ্ব এরই মধ্যে বড় বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে, ভবিষ্যতেও এক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসি/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

বিশ্বজুড়ে কমছে জন্মহার, তবে আতঙ্কের কিছু নেই

আপডেট সময় : ০১:০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে জন্মহার কমছে দ্রুতগতিতে, এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশেও এখন জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয় হারের নিচে। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বর্তমানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এমন দেশে বাস করছেন, যেখানে নারীদের গড় সন্তান জন্মদানের হার ২.১–এর নিচে। এই হারকে ধরা হয় প্রতিস্থাপন হার—যেটা একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে দরকার।

জাতিসংঘের মতে, বিশ্বের জনসংখ্যা ২০৮৪ সালে ১০.৩ বিলিয়নে পৌঁছে শীর্ষে উঠবে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই পূর্বাভাস হয়তো অতিরিক্ত আশাবাদী। বর্তমান হার চলতে থাকলে জনসংখ্যা ২০৬৫ সালেই ৯.৬ বিলিয়নে পৌঁছে এরপর কমে যেতে পারে।

কম মানুষ মানে কম কর্মী ও উদ্ভাবক, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। ছোট শহরগুলোতে স্কুল ও সেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকারি ঋণের বোঝা কম মানুষের ওপর চাপবে, যাদের অনেকেই বয়স্ক।

বিভিন্ন দেশে রাজনীতিকরা জন্মহার বাড়াতে অর্থনৈতিক প্রণোদনার কথা বলছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে ফার্টিলাইজেশন প্রেসিডেন্ট বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি অনুদান দিয়ে জন্মহার বাড়ানো খুব একটা কার্যকর নয়। হাঙ্গেরির মতো দেশ অনেক টাকা খরচ করেও সফল হয়নি।

আশার কথা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি দ্রুত এগোচ্ছে, যা মানবশক্তির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারবে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি দিন সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকছে।

তাছাড়া নারী ও শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টি উন্নত করলে কর্মশক্তি ধরে রাখা সম্ভব। জাপান বহু বছর ধরে জনসংখ্যা হ্রাসের মধ্যেও জীবনমান উন্নত রেখেছে।

চীন, ইউরোপ, আমেরিকায় জনসংখ্যা কমবে, আফ্রিকার অংশ বাড়বে—এটি একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। বিশ্ব এরই মধ্যে বড় বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে, ভবিষ্যতেও এক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসি/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫