ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা প্রীতি ম্যাচ

চার বছর পর কাঠমান্ডুতে ড্র করলো বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক: আশি-নব্বইয়ের দশকে ফুটবলে নেপালকে বেশ বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। সময়ের বিবর্তনে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নেই পাঁচ বছর। ড্রয়ের ঘটনাও চার বছর আগে। ২০২২ সালে সর্বশেষ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ গোলে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা প্রীতি ম্যাচে অবশ্য জামালরা গোলশূন্য ড্র করেছে।
বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলই আগামী মাসে অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এই ফিফা উইন্ডোতে নিজেদের প্রস্তুত করতেই মূলত সিরিজ আয়োজন। প্রথম ম্যাচে দুই দলের কেউই গোল করতে পারেনি। ফলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

২০২১ সালে মালদ্বীপ সাফে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ ছিল অঘোষিত সেমিফাইনাল। ঐ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারত। নেপাল ড্র করায় তারা ভারতের সঙ্গে ফাইনাল খেলে। ঐ বছরই মার্চে বাংলাদেশ কাঠমান্ডুতে ত্রিদেশীয় এক টুর্নামেন্ট খেলে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক নেপাল ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

এরপর ২৭ মার্চ রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচে বাংলাদেশ গোল শূন্য ড্র করে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ চার বছর পর আবার নেপালে ড্র করল। ভিয়েতনামে মোরসালিনরা ইয়েমেনের বিপক্ষে নাটকীয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পথে। নেপালে জামালরা ড্র করে অন্তত ফুটবলপ্রেমীদের খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে।

দশরথ স্টেডিয়াম এএফসি বড় টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্য নয়। এমন ঘোষণার পর আলোচনায় দশরথের মাঠ। নেপালে রোদ-বৃষ্টির ক্রমাগত খেলায় সামান্য বৃষ্টিতে মাঠ খানিকটা ভারী ছিল। দুই দলের ফুটবলাররা এতে স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেননি সেই অর্থে। স্বাগতিক ফুটবলাররাই ম্যাচে একাধিকবার মাঠের সমস্যায় পড়ে আঘাত পেয়েছেন। এতে খেলা বিঘ্ন ঘটলেও বড় ধরনের ইনজুরি অবশ্য হয়নি।

বাংলাদেশের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা আজকের ম্যাচে খেলেননি। সুজন হোসেনের জাতীয় দলে অভিষেক ম্যাচে তেমন বেশি পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। নেপাল আক্রমণ করলেও পরিষ্কার গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে তুলনামূলক সহজ গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশই। ডান প্রান্ত থেকে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইন ধরতে নেপালের গোলরক্ষক কিরণ বক্স থেকে বেরিয়ে আসেন। বল গ্রিপে ধরতে পারেননি। বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড বল পেলেও ফাঁকা পোস্টে বল প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ খানিকটা গোছালো ফুটবল খেলে। বল দখল, পাসিংয়ে পরিকল্পনার ছাপ ছিল। নেপালের ফুটবলাররা দুই বছর ঘরোয়া লিগ খেলেনি। এরপরও তারা প্রায় দেড় মাসের প্রস্তুতিতে জাতীয় দলের হয়ে তুলনামূলক ভালো ফুটবলই খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রসের অধীনে বিল্ড আপ ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে স্বাগতিক দল। দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ সেপ্টেম্বর।

সানা/আপ্র/০৬/০৯/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা প্রীতি ম্যাচ

চার বছর পর কাঠমান্ডুতে ড্র করলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: আশি-নব্বইয়ের দশকে ফুটবলে নেপালকে বেশ বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। সময়ের বিবর্তনে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নেই পাঁচ বছর। ড্রয়ের ঘটনাও চার বছর আগে। ২০২২ সালে সর্বশেষ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ গোলে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা প্রীতি ম্যাচে অবশ্য জামালরা গোলশূন্য ড্র করেছে।
বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলই আগামী মাসে অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এই ফিফা উইন্ডোতে নিজেদের প্রস্তুত করতেই মূলত সিরিজ আয়োজন। প্রথম ম্যাচে দুই দলের কেউই গোল করতে পারেনি। ফলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

২০২১ সালে মালদ্বীপ সাফে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ ছিল অঘোষিত সেমিফাইনাল। ঐ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারত। নেপাল ড্র করায় তারা ভারতের সঙ্গে ফাইনাল খেলে। ঐ বছরই মার্চে বাংলাদেশ কাঠমান্ডুতে ত্রিদেশীয় এক টুর্নামেন্ট খেলে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক নেপাল ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

এরপর ২৭ মার্চ রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচে বাংলাদেশ গোল শূন্য ড্র করে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ চার বছর পর আবার নেপালে ড্র করল। ভিয়েতনামে মোরসালিনরা ইয়েমেনের বিপক্ষে নাটকীয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পথে। নেপালে জামালরা ড্র করে অন্তত ফুটবলপ্রেমীদের খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে।

দশরথ স্টেডিয়াম এএফসি বড় টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্য নয়। এমন ঘোষণার পর আলোচনায় দশরথের মাঠ। নেপালে রোদ-বৃষ্টির ক্রমাগত খেলায় সামান্য বৃষ্টিতে মাঠ খানিকটা ভারী ছিল। দুই দলের ফুটবলাররা এতে স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেননি সেই অর্থে। স্বাগতিক ফুটবলাররাই ম্যাচে একাধিকবার মাঠের সমস্যায় পড়ে আঘাত পেয়েছেন। এতে খেলা বিঘ্ন ঘটলেও বড় ধরনের ইনজুরি অবশ্য হয়নি।

বাংলাদেশের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা আজকের ম্যাচে খেলেননি। সুজন হোসেনের জাতীয় দলে অভিষেক ম্যাচে তেমন বেশি পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। নেপাল আক্রমণ করলেও পরিষ্কার গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে তুলনামূলক সহজ গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশই। ডান প্রান্ত থেকে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইন ধরতে নেপালের গোলরক্ষক কিরণ বক্স থেকে বেরিয়ে আসেন। বল গ্রিপে ধরতে পারেননি। বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড বল পেলেও ফাঁকা পোস্টে বল প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ খানিকটা গোছালো ফুটবল খেলে। বল দখল, পাসিংয়ে পরিকল্পনার ছাপ ছিল। নেপালের ফুটবলাররা দুই বছর ঘরোয়া লিগ খেলেনি। এরপরও তারা প্রায় দেড় মাসের প্রস্তুতিতে জাতীয় দলের হয়ে তুলনামূলক ভালো ফুটবলই খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রসের অধীনে বিল্ড আপ ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে স্বাগতিক দল। দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ সেপ্টেম্বর।

সানা/আপ্র/০৬/০৯/২০২৫