ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার দাবি পুতিনের

  • আপডেট সময় : ০৫:২০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান রুশ যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘সমঝোতা’ হয়েছে। গত মাসে আলাস্কায় দুই নেতার বৈঠকে এই অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন বলেন, আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে, তা শান্তির পথে এগোচ্ছে বলে আমি আশা করি।

তবে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি পুতিন। সোমবারের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলাস্কা বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছেন। এটি ভবিষ্যতে একটি শান্তিচুক্তির ভিত্তি হতে পারে। তবে মস্কো এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

পুতিন তার বক্তব্যে আবারো পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর যুদ্ধের দায় চাপান। তিনি বলেন, এই সংকট রাশিয়ার হামলা থেকে শুরু হয়নি, বরং পশ্চিমা প্ররোচনায় ইউক্রেনে যে অভ্যুত্থান ঘটেছিল, সেটিই মূল কারণ। তাছাড়া ন্যাটোয় ইউক্রেনকে টানার পশ্চিমাদের চেষ্টা ছিল অব্যাহত।

চীন ও ভারতের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, দুই দেশই ইউক্রেন সংকট সমাধানে সহায়তার চেষ্টা করছে।

তবে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছে, রুশ তেল কেনার মাধ্যমে বেইজিং ও নয়াদিল্লি রাশিয়ার যুদ্ধকবলিত অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এখনো চলমান। গত সপ্তাহে মস্কো এক দিনে ৬২৯টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যাতে ২৩ জন নিহত হয়। ইউরোপীয় নেতারা এটিকে যুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ট্রাম্পের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে পুতিন সাড়া না দিলে তা প্রমাণ করবে যে রুশ প্রেসিডেন্ট আবারো মার্কিন নেতাকে নিয়ে খেলছেন। তবে ট্রাম্প সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি পুতিনকে আরো কিছু সময় দেবেন।

ট্রাম্প আগেও দাবি করেছিলেন, তিনি এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। সম্প্রতি তিনি যুদ্ধবিরতির বদলে স্থায়ী শান্তিচুক্তির পক্ষে মত দেন। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে নন তিনি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে ইউরোপ হবে প্রথম প্রতিরক্ষা সীমা।

এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কাঠামো এই সপ্তাহেই কাগজে আসতে পারে। কিন্তু তিনি বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার অভিযোগ, রাশিয়া আলোচনায় আন্তরিক নয়, বরং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কৌশল নিচ্ছে।

এসি/আপ্র/০১/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার দাবি পুতিনের

আপডেট সময় : ০৫:২০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান রুশ যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘সমঝোতা’ হয়েছে। গত মাসে আলাস্কায় দুই নেতার বৈঠকে এই অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন বলেন, আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে, তা শান্তির পথে এগোচ্ছে বলে আমি আশা করি।

তবে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি পুতিন। সোমবারের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলাস্কা বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছেন। এটি ভবিষ্যতে একটি শান্তিচুক্তির ভিত্তি হতে পারে। তবে মস্কো এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

পুতিন তার বক্তব্যে আবারো পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর যুদ্ধের দায় চাপান। তিনি বলেন, এই সংকট রাশিয়ার হামলা থেকে শুরু হয়নি, বরং পশ্চিমা প্ররোচনায় ইউক্রেনে যে অভ্যুত্থান ঘটেছিল, সেটিই মূল কারণ। তাছাড়া ন্যাটোয় ইউক্রেনকে টানার পশ্চিমাদের চেষ্টা ছিল অব্যাহত।

চীন ও ভারতের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, দুই দেশই ইউক্রেন সংকট সমাধানে সহায়তার চেষ্টা করছে।

তবে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছে, রুশ তেল কেনার মাধ্যমে বেইজিং ও নয়াদিল্লি রাশিয়ার যুদ্ধকবলিত অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এখনো চলমান। গত সপ্তাহে মস্কো এক দিনে ৬২৯টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যাতে ২৩ জন নিহত হয়। ইউরোপীয় নেতারা এটিকে যুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ট্রাম্পের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে পুতিন সাড়া না দিলে তা প্রমাণ করবে যে রুশ প্রেসিডেন্ট আবারো মার্কিন নেতাকে নিয়ে খেলছেন। তবে ট্রাম্প সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি পুতিনকে আরো কিছু সময় দেবেন।

ট্রাম্প আগেও দাবি করেছিলেন, তিনি এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। সম্প্রতি তিনি যুদ্ধবিরতির বদলে স্থায়ী শান্তিচুক্তির পক্ষে মত দেন। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে নন তিনি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে ইউরোপ হবে প্রথম প্রতিরক্ষা সীমা।

এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কাঠামো এই সপ্তাহেই কাগজে আসতে পারে। কিন্তু তিনি বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার অভিযোগ, রাশিয়া আলোচনায় আন্তরিক নয়, বরং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কৌশল নিচ্ছে।

এসি/আপ্র/০১/০৯/২০২৫