ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

কারাগার থেকে বন্দিরা আমাকেও ফোন দেয়: আইজি প্রিজন

  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারের মধ্যে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ঘটনা নতুন নয়, এমনকি বন্দিরা তাকেও ফোন দেয় বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন।

তবে এসব মোবাইল উদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

কারাগারে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে বন্দিরা আমাকে অনেক সময় ফোন দেয়। মূলত আরেকজনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা ফোন দেয়, যারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ বিষয়ে অনেক সময় অভিযান চালানো হয়েছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি অস্বীকার করতে পারবো না, কারাগারে ফোন যায় না। তবে আমরা অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।

কারাগারে মাদকের বিস্তার রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে অনেকটা রিকভার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশিতে বিপুলসংখ্যক ছোট সাইজের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। এখন অনেকটা কমেছে, তবে বন্ধ হয়েছে বলা যাবে না। আমরা মাদকের বিষয়ে অনেক কঠোর। এমনকি পেটের মধ্যে করে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বেশি ধরা পড়ছে। আর মাদক মামলায় যারা গ্রেফতার তাদের কারাগারে আনার পর বিশেষ সেলে রাখা হয়, যাতে করে তারা মাদক ছড়িয়ে দিতে না পারে। এমনও বন্দি এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পাওয়া গেছে।

আইজি প্রিজন বলেন, আমরা এখনো শতভাগ সফল নই, তবে উন্নতি করেছি। এমনকী মাদকের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনের বিষয়ে আমরা অনেক কঠোর। মোবাইলের আলামত পাওয়ায় ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে। আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প করে ধরা পড়ছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে। কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরের বাসা থেকে রান্না করে দেওয়া খাবার বন্ধ করা হয়েছে।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা

কারাগার থেকে বন্দিরা আমাকেও ফোন দেয়: আইজি প্রিজন

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারের মধ্যে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ঘটনা নতুন নয়, এমনকি বন্দিরা তাকেও ফোন দেয় বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন।

তবে এসব মোবাইল উদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

কারাগারে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, অবৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে বন্দিরা আমাকে অনেক সময় ফোন দেয়। মূলত আরেকজনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা ফোন দেয়, যারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ বিষয়ে অনেক সময় অভিযান চালানো হয়েছে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি অস্বীকার করতে পারবো না, কারাগারে ফোন যায় না। তবে আমরা অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।

কারাগারে মাদকের বিস্তার রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে অনেকটা রিকভার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশিতে বিপুলসংখ্যক ছোট সাইজের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। এখন অনেকটা কমেছে, তবে বন্ধ হয়েছে বলা যাবে না। আমরা মাদকের বিষয়ে অনেক কঠোর। এমনকি পেটের মধ্যে করে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বেশি ধরা পড়ছে। আর মাদক মামলায় যারা গ্রেফতার তাদের কারাগারে আনার পর বিশেষ সেলে রাখা হয়, যাতে করে তারা মাদক ছড়িয়ে দিতে না পারে। এমনও বন্দি এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পাওয়া গেছে।

আইজি প্রিজন বলেন, আমরা এখনো শতভাগ সফল নই, তবে উন্নতি করেছি। এমনকী মাদকের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনের বিষয়ে আমরা অনেক কঠোর। মোবাইলের আলামত পাওয়ায় ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে। আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প করে ধরা পড়ছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে। কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরের বাসা থেকে রান্না করে দেওয়া খাবার বন্ধ করা হয়েছে।

এসি/