ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ভারতও না বাংলাদেশও না, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবির দেশ কোনটা?

  • আপডেট সময় : ০২:১৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালি বিবি ও তার পরিবারকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছিল বিএসএফ। বাংলাদেশে ঢোকার পর ২৯ বছরের সেই নারী, তার স্বামী এবং তাদের আট বছরের পুত্রসন্তানকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার লিখেছে, কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাকের পর তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সর্বশেষ তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। তাদের কাছ থেকে ভারতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।

আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালি বিবি, তার স্বামী দানিশ শেখ ও আট বছরের ছেলে দীর্ঘদিন দিল্লির রোহিণীতে বসবাস করছিলেন। কাগজ কুড়ানো ও গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন তারা। পরিবারের দাবি, গত ১৮ জুন তাদের দিল্লি পুলিশ আটক করে। একই সময়ে আটক হন সুইটি বিবি ও তার সন্তানরাও। তারাও বীরভূম জেলার বাসিন্দা

জুন মাসে আটক হওয়ার পর দিল্লি আদালতে মামলা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের সহায়তায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়, যা এখনো বিচারাধীন।

বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোনালির গ্রেফতারের খবর আমরা পেয়েছি। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আইনি প্রক্রিয়া জটিল হলেও ওদের ফেরানোর চেষ্টা চলবে।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি হবে ১০ সেপ্টেম্বর।

হাইকোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার কথা জেনে মন ভেঙেছে সোনালি এবং সুইটির পরিবারের। সবচেয়ে চিন্তায় সোনালির পরিবার। সোনালির মামাতো ভাই রকি শেখ বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দিদিকে বিদেশে আটক রাখা সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। যদি ওখানেই শিশুর জন্ম হয়, আইনি জটিলতা আরো বেড়ে যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক। কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতও না বাংলাদেশও না, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবির দেশ কোনটা?

আপডেট সময় : ০২:১৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালি বিবি ও তার পরিবারকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছিল বিএসএফ। বাংলাদেশে ঢোকার পর ২৯ বছরের সেই নারী, তার স্বামী এবং তাদের আট বছরের পুত্রসন্তানকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার লিখেছে, কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাকের পর তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সর্বশেষ তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। তাদের কাছ থেকে ভারতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।

আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালি বিবি, তার স্বামী দানিশ শেখ ও আট বছরের ছেলে দীর্ঘদিন দিল্লির রোহিণীতে বসবাস করছিলেন। কাগজ কুড়ানো ও গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন তারা। পরিবারের দাবি, গত ১৮ জুন তাদের দিল্লি পুলিশ আটক করে। একই সময়ে আটক হন সুইটি বিবি ও তার সন্তানরাও। তারাও বীরভূম জেলার বাসিন্দা

জুন মাসে আটক হওয়ার পর দিল্লি আদালতে মামলা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের সহায়তায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়, যা এখনো বিচারাধীন।

বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোনালির গ্রেফতারের খবর আমরা পেয়েছি। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আইনি প্রক্রিয়া জটিল হলেও ওদের ফেরানোর চেষ্টা চলবে।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি হবে ১০ সেপ্টেম্বর।

হাইকোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার কথা জেনে মন ভেঙেছে সোনালি এবং সুইটির পরিবারের। সবচেয়ে চিন্তায় সোনালির পরিবার। সোনালির মামাতো ভাই রকি শেখ বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দিদিকে বিদেশে আটক রাখা সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। যদি ওখানেই শিশুর জন্ম হয়, আইনি জটিলতা আরো বেড়ে যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক। কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।

এসি/