ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত

  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউস বলছে, ট্রাম্প মাত্র সাত মাসে বিশ্বব্যাপী সাতটি সংঘাত থামিয়েছেন।

একইসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ওই সংঘাতে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ চার দিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি ও বিমান হামলা চালিয়েছিল।
বুধবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি তিনি (ট্রাম্প) তার করা সব শান্তিচুক্তি নিয়ে গর্বিত… ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তিনি বাণিজ্যকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সেই সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন… তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মানিত বোধ করছেন।

লেভিট দাবি করেন, ট্রাম্প মাত্র সাত মাসে বিশ্বব্যাপী সাতটি সংঘাতের সমাধান করেছেন। তার মতে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের অবসান ঘটেছে, যদি আমাদের প্রেসিডেন্ট না থাকতেন তাহলে এই যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারত। তিনি (ট্রাম্প) মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদটির শক্তি ও প্রভাবকে কাজে লাগাতে জানেন।

কাশ্মিরের ভারতশাসিত অংশে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে ওই তীব্র সংঘাত শুরু হয়। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। সংঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারান। পরে ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।

ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং স্বাধীন তদন্তের দাবি জানায়। এরপর চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করে। ইসলামাবাদের মতে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকা এবং কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়াই এই মনোনয়নের কারণ। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে সাম্প্রতিক এক বিতর্কে দাবি করেন, কোনো বিশ্বনেতা তাদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান থামাতে বলেননি। তার ভাষায়, কোনও বিশ্বনেতা আমাদের অপারেশন থামাতে বলেননি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত

আপডেট সময় : ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউস বলছে, ট্রাম্প মাত্র সাত মাসে বিশ্বব্যাপী সাতটি সংঘাত থামিয়েছেন।

একইসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ওই সংঘাতে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ চার দিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি ও বিমান হামলা চালিয়েছিল।
বুধবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি তিনি (ট্রাম্প) তার করা সব শান্তিচুক্তি নিয়ে গর্বিত… ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তিনি বাণিজ্যকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সেই সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন… তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মানিত বোধ করছেন।

লেভিট দাবি করেন, ট্রাম্প মাত্র সাত মাসে বিশ্বব্যাপী সাতটি সংঘাতের সমাধান করেছেন। তার মতে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারত। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের অবসান ঘটেছে, যদি আমাদের প্রেসিডেন্ট না থাকতেন তাহলে এই যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারত। তিনি (ট্রাম্প) মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদটির শক্তি ও প্রভাবকে কাজে লাগাতে জানেন।

কাশ্মিরের ভারতশাসিত অংশে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে ওই তীব্র সংঘাত শুরু হয়। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। সংঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারান। পরে ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।

ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং স্বাধীন তদন্তের দাবি জানায়। এরপর চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করে। ইসলামাবাদের মতে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকা এবং কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়াই এই মনোনয়নের কারণ। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে সাম্প্রতিক এক বিতর্কে দাবি করেন, কোনো বিশ্বনেতা তাদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান থামাতে বলেননি। তার ভাষায়, কোনও বিশ্বনেতা আমাদের অপারেশন থামাতে বলেননি।