রংপুর সংবাদদাতা: আমদানির খবরে সামান্য কমেছে পেঁয়াজের দাম। রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে বেগুনসহ কিছু সবজির। তবে আমদানির খবরে সামান্য কমেছে পেঁয়াজের দাম। পোলট্রি মুরগি ও ডিমের দামও কমেছে সামান্য। তবে চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৪৮-৫০ টাকা থেকে কমে ৪৬-৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭২-৮০ টাকা। তবে কাঁচামরিচের দাম ২০০-২২০ টাকা থেকে বেড়ে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগ বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির খবরে গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য দাম কমেছে। সর্বোচ্চ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।’
কাঁচামরিচ বিক্রেতা সোলেমান মিয়া বলেন, ‘বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম। বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে গাছ মরে গেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য কমেছে ১৮০-২০০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, কাকরোল ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙে আগের মতোই ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, সজনে ডাঁটা ১৫০-১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, চিকন বেগুন ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, পটোল ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, বরবটির দাম কমে ৯০-১০০ টাকা থেকে ৮০-৯০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২০-৩০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৪০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০-৩০০ টাকা কেজি এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি আদার দাম কিছুটা কমে ২০০-২২০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় কমে গেছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।’
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য কমে ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্পিও ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতলা ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসি/