নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের আট দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেও তারা স্মারকলিপি দিতে পারেননি।
দুপুর দেড়টার দিকে স্কুলের একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পক্ষে এ অভিযোগ করেন নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমার মামা লিয়ন মীর।
৮ দফা দাবি
১. সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. সারাদেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক বাচ্চার জন্য ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) এবং প্রতি আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা দিতে হবে।
৪. স্কুলের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক বাচ্চার জন্য ২ কোটি এবং প্রতি আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. রানওয়ে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করতে হবে (অন্যথায় রানওয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হবে)।
৬. কোচিং ব্যবসার মূলহোতা স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকাকে (মিস খাদিজা) ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
৭. স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমাদের দেখাতে হবে। এবং
৮. বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জনহীন জায়গায় করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিভাবকরা ‘বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা তাদের তিন-চারজনের একটি প্রতিনিধিদলকে এসে স্মারকলিপি দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা হট্টগোল করে অনেকে একসঙ্গে ঢুকে পড়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবির প্রতি সহমর্মী। তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।
এসি/