ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

৩২ নম্বরে ফুল দিতে আসা সেই রিকশাচালক কারাগারে

  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

গণপিটুনি ও মব ভায়োল্যান্সের শিকার রিকশাচালক আজিজুর রহমান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে গণপিটুনি ও মব ভায়োল্যান্সের শিকার রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিনের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পরে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রিকশাচালক আজিজুর রহমান বলেন, আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম। তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।

আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী এবং বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সন্ধিগ্ধ আসামি মো. আজিজুর রহমান (২৭) মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে, এই আসামি ধানমন্ডি- ৩২ এ সাধারণ জণগণের দ্বারা গ্রেফতার হওয়ায় সময় ধস্তাধস্তিতে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষ সুস্থ হন। এ ঘটনায় এ বছরের ২ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী আরিফুল।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩২ নম্বরে ফুল দিতে আসা সেই রিকশাচালক কারাগারে

আপডেট সময় : ০৯:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে গণপিটুনি ও মব ভায়োল্যান্সের শিকার রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিনের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পরে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রিকশাচালক আজিজুর রহমান বলেন, আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম। তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।

আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী এবং বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সন্ধিগ্ধ আসামি মো. আজিজুর রহমান (২৭) মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে, এই আসামি ধানমন্ডি- ৩২ এ সাধারণ জণগণের দ্বারা গ্রেফতার হওয়ায় সময় ধস্তাধস্তিতে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মামলা তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষ সুস্থ হন। এ ঘটনায় এ বছরের ২ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী আরিফুল।