প্রত্যাশা ডেস্ক: অতি ভারী বৃষ্টিতে পাকিস্তানে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দেশটিতে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধস ৩০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে অথবা ভবন ধসে মারা গেছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বর্ষাকালে সাধারণত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় এবার সে তুলনায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গায় সড়কও ভবন ধসে সেগুলো ভেসে গেছে।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। সেখানে অন্তত ১৮০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কাশ্মিরে ৯ জন এবং গিলগিট-বালতিস্তানে আরো পাঁচজন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে হেলিকপ্টারের পাঁচ আরোহী নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে দুজন পাইলট ছিলেন। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। কোনো প্রয়োজন ছাড়া বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় না যেতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া কিছু অঞ্চলকে দুর্যোগ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর জানিয়েছেন, আফগান সীমান্তবর্তী বাজুরে যাওয়ার সময় একটি এম-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে গতকাল মেঘ বিস্ফোরণে অন্তত ৬০ জন নিহত হন। এতে আহত হন আরো ২০০ জন। মেঘ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা সামনের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। যেগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত ৫০০ জন আটকে পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স