ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

ক্ষেপণাস্ত্র তদারকের জন্য কেন সামরিক বাহিনী গঠন করছে পাকিস্তান

  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তার্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান নতুন একটি সামরিক বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছে, যে বাহিনী প্রথাগত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা তদারক করবে। সম্ভবত প্রতিবেশী ও দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে মোকাবিলা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।ভারতের সঙ্গে মে মাসে সংঘর্ষের স্মরণে গত বুধবার ইসলামাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আর্মি রকেট ফোর্স গঠনের ঘোষণা দেন।

ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসের সংঘাত গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। শাহবাজ শরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই বাহিনী আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত হবে। শত্রুকে সব দিক থেকে আঘাত করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই বাহিনী আমাদের প্রথাগত যুদ্ধসক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করবে।’

তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ তাঁর বিবৃতিতে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি। পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, এই বাহিনী নিজস্ব কমান্ডের অধীন থাকবে এবং প্রথাগত যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা ও স্থাপনার দায়িত্ব নেবে।

তিনি বলেন, এটি স্পষ্টভাবে ভারতের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই বাহিনীসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তানি নেতৃত্বের পরিচিত কৌশল হলো, বারবার ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢেকে রাখা। উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী এবং ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা ক্রমাগত সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে।

গত এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করেছিল, তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। গত মে মাসে শুরু হওয়া সংঘাতে দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল। স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কাশ্মীর ঘিরে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। দুই দেশই কাশ্মীরের আংশিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে।

ওআ/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষেপণাস্ত্র তদারকের জন্য কেন সামরিক বাহিনী গঠন করছে পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৭:৪২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

আন্তার্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান নতুন একটি সামরিক বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছে, যে বাহিনী প্রথাগত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা তদারক করবে। সম্ভবত প্রতিবেশী ও দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে মোকাবিলা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।ভারতের সঙ্গে মে মাসে সংঘর্ষের স্মরণে গত বুধবার ইসলামাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আর্মি রকেট ফোর্স গঠনের ঘোষণা দেন।

ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসের সংঘাত গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। শাহবাজ শরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই বাহিনী আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত হবে। শত্রুকে সব দিক থেকে আঘাত করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই বাহিনী আমাদের প্রথাগত যুদ্ধসক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করবে।’

তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ তাঁর বিবৃতিতে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি। পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, এই বাহিনী নিজস্ব কমান্ডের অধীন থাকবে এবং প্রথাগত যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা ও স্থাপনার দায়িত্ব নেবে।

তিনি বলেন, এটি স্পষ্টভাবে ভারতের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই বাহিনীসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তানি নেতৃত্বের পরিচিত কৌশল হলো, বারবার ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢেকে রাখা। উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী এবং ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা ক্রমাগত সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে।

গত এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করেছিল, তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। গত মে মাসে শুরু হওয়া সংঘাতে দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল। স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কাশ্মীর ঘিরে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। দুই দেশই কাশ্মীরের আংশিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে।

ওআ/