ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সংস্কার শেষ না হতেই বাঁধে ভাঙন

  • আপডেট সময় : ১২:১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া সংবাদদাতা : সংস্কারকাজ শেষ না হতেই বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পুকুরিয়া-ভুতবাড়ি এলাকায় যমুনার ডান তীর রক্ষা বাঁধের আরও ৩৫ মিটার অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানির তোড়ে গতকাল সোমবার সকালের দিকে তৃতীয় দফায় বাঁধে এ ভাঙন শুরু হয়। একই এলাকায় এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ৫০ মিটার ও ২৪ সেপ্টেম্বর ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়। এ নিয়ে ডান তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১৮৫ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হলো। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ জনবসতি এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুকুরিয়া-ভুতবাড়ি এলাকায় ৬০০ মিটার অংশ বাঁধ রক্ষার কাজ করা হয়। সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাঁধ রক্ষা কাজ শেষ হয়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে পানির প্রবল স্রোত আঘাত হানায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের ব্লক নদীতে চলে গেছে এবং বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন স্থানীয়রা। ভাঙনরোধে যেভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন সেভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী বলেন, পানি কমে যাওয়ায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। তীর রক্ষা বাঁধের ভাঙন স্থানে গত দুদিনে এক হাজারের বেশি বালুভর্তি জিও বস্তা ফেলা হয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের আরও কিছু অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। তবে সংস্কারকাজ চলমান রাখা হয়েছে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কার শেষ না হতেই বাঁধে ভাঙন

আপডেট সময় : ১২:১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বগুড়া সংবাদদাতা : সংস্কারকাজ শেষ না হতেই বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পুকুরিয়া-ভুতবাড়ি এলাকায় যমুনার ডান তীর রক্ষা বাঁধের আরও ৩৫ মিটার অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানির তোড়ে গতকাল সোমবার সকালের দিকে তৃতীয় দফায় বাঁধে এ ভাঙন শুরু হয়। একই এলাকায় এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ৫০ মিটার ও ২৪ সেপ্টেম্বর ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়। এ নিয়ে ডান তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১৮৫ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হলো। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ জনবসতি এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুকুরিয়া-ভুতবাড়ি এলাকায় ৬০০ মিটার অংশ বাঁধ রক্ষার কাজ করা হয়। সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাঁধ রক্ষা কাজ শেষ হয়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে পানির প্রবল স্রোত আঘাত হানায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের ব্লক নদীতে চলে গেছে এবং বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন স্থানীয়রা। ভাঙনরোধে যেভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন সেভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী বলেন, পানি কমে যাওয়ায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। তীর রক্ষা বাঁধের ভাঙন স্থানে গত দুদিনে এক হাজারের বেশি বালুভর্তি জিও বস্তা ফেলা হয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধের আরও কিছু অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। তবে সংস্কারকাজ চলমান রাখা হয়েছে