ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

ছয় মাসের মধ্যে পাহাড়ি ১০০ স্কুলে স্টারলিংক ইন্টারনেট

  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: ছয় মাসের মধ্যে পাহাড়ি ১০০টি বিদ্যালয়ে সরকার স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি বাসসকে বলেছেন, এই উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এক বিপ্লব হবে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। এতে শিক্ষার মানে সমতা নিশ্চিত হবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বাসস লিখেছে, পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই উদ্যোগ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে, যা তাদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে।

আমার মূল চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমরা সবসময় কোটা পাব না। প্রতিযোগিতা করতে হলে কিছু ভালো স্কুল-কলেজ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমার প্রধান চিন্তা স্যাটেলাইট শিক্ষাব্যবস্থা। এ জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে।

সরকার পার্বত্য অঞ্চলে প্রকৌশল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, হোস্টেল, অনাথালয় ও ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ। পাহাড়ের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার প্রশ্নে তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার জনগণকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সরকার তিন বছর মেয়াদি বাঁশ চাষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই সঙ্গে আরো পশুপালন ও মৎস্য প্রকল্পের উদ্যোগ রয়েছে। পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হবে বাঁশ চাষ। আমরা বাঁশের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই এবং এ অঞ্চলের পানি সংকট কমাতে চাই।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পাহাড়ি অঞ্চল উন্নয়ন করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ একটি অত্যন্ত কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজু বাদাম, কফি ও ভুট্টা চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে চায় মন্তব্য করে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের সকল দুয়ার উন্মুক্ত করেছে। পাহাড়ি জনগণ কৃষিখাতে পিছিয়ে আছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় উৎপাদিত কফি ও কাজু বাদামের উৎপাদন সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে। তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ি জনগণ আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমরা দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে একীভূত হতে চাই। সমাজে সকলে যেন ভূমিকা রাখে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র সম্পর্কে ভাবতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকবে হবে।

কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে এখনো যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়নি বলে মনে করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, এই জলাশয় থেকে মাছ আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোববার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, ৮০ টাকায় মিলবে চিনি

ছয় মাসের মধ্যে পাহাড়ি ১০০ স্কুলে স্টারলিংক ইন্টারনেট

আপডেট সময় : ০৮:১৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ছয় মাসের মধ্যে পাহাড়ি ১০০টি বিদ্যালয়ে সরকার স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি বাসসকে বলেছেন, এই উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এক বিপ্লব হবে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। এতে শিক্ষার মানে সমতা নিশ্চিত হবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বাসস লিখেছে, পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই উদ্যোগ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে, যা তাদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে।

আমার মূল চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমরা সবসময় কোটা পাব না। প্রতিযোগিতা করতে হলে কিছু ভালো স্কুল-কলেজ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমার প্রধান চিন্তা স্যাটেলাইট শিক্ষাব্যবস্থা। এ জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে।

সরকার পার্বত্য অঞ্চলে প্রকৌশল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, হোস্টেল, অনাথালয় ও ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ। পাহাড়ের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার প্রশ্নে তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার জনগণকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সরকার তিন বছর মেয়াদি বাঁশ চাষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই সঙ্গে আরো পশুপালন ও মৎস্য প্রকল্পের উদ্যোগ রয়েছে। পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হবে বাঁশ চাষ। আমরা বাঁশের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই এবং এ অঞ্চলের পানি সংকট কমাতে চাই।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পাহাড়ি অঞ্চল উন্নয়ন করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ একটি অত্যন্ত কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজু বাদাম, কফি ও ভুট্টা চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে চায় মন্তব্য করে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের সকল দুয়ার উন্মুক্ত করেছে। পাহাড়ি জনগণ কৃষিখাতে পিছিয়ে আছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় উৎপাদিত কফি ও কাজু বাদামের উৎপাদন সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে। তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ি জনগণ আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমরা দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে একীভূত হতে চাই। সমাজে সকলে যেন ভূমিকা রাখে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র সম্পর্কে ভাবতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকবে হবে।

কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে এখনো যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়নি বলে মনে করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, এই জলাশয় থেকে মাছ আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।