ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি

‘মুগ্ধ মঞ্চের’ উদ্বোধন হলো উত্তরায়

  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

‘মুগ্ধ মঞ্চের’ উদ্বোধন হলো উত্তরায় -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় ‘মুগ্ধ মঞ্চ’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও মীর মুগ্ধ মঞ্চ কমিটির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে জুলাইয়ের শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে।
সোমবার (৪ আগস্ট) মঞ্চটির উদ্বোধন করেন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মুগ্ধ মঞ্চ উদ্বোধন করে উপদেষ্টা বলেন, মুগ্ধ মঞ্চ আমাদের মনে করিয়ে দেবে, কোনো স্বৈরাচারী ব্যবস্থা এ দেশে টিকতে পারবে না। সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে এবং দেশের সর্বস্তর থেকে ফ্যাসিবাদের বীজ উপড়ে ফেলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, মুগ্ধ মঞ্চ হবে এমন এক গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে রাজনৈতিক গবেষণা, মুক্ত বিতর্ক এবং সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটবে। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র চর্চার সবচেয়ে বড় স্থান হলো গণপরিসর বা পাবলিক স্পেস, যেখানে বিভিন্ন মতের মানুষের মিলন ঘটে। এ কারণেই নাগরিক ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে গণপরিসর উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, আমরা পুরনো বাংলাদেশে ফিরতে চাই না। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা আমাদের করতে হবে এবং আমরা তা করব।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জুলাইয়ের শহিদ ও আহতরা আমাদের বিদ্রোহী হতে শিখিয়েছে, তারা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। যদি ‘জুলাই সনদ’-এর আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ঢাকার যেসব স্থানে জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনকারীরা পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছেন, সেখানে স্থায়ীভাবে স্মৃতিচিহ্ন বা ‘মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণ করা হবে। জুলাই আন্দোলনের শহিদ পরিবারের সদস্য এবং আহত আন্দোলনকারীরাও আলোচনায় অংশ নেন। জুলাই শহিদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন্নাহার তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ে জুলাই আন্দোলনে সব হত্যার বিচার চাই।
জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুল আজিজ বলেন, জুলাইয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব ধ্বংস করতে টার্গেট করে গুলি চালানো হয়েছিল। যারা উত্তরায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি

‘মুগ্ধ মঞ্চের’ উদ্বোধন হলো উত্তরায়

আপডেট সময় : ০৯:৪২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় ‘মুগ্ধ মঞ্চ’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও মীর মুগ্ধ মঞ্চ কমিটির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে জুলাইয়ের শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে।
সোমবার (৪ আগস্ট) মঞ্চটির উদ্বোধন করেন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মুগ্ধ মঞ্চ উদ্বোধন করে উপদেষ্টা বলেন, মুগ্ধ মঞ্চ আমাদের মনে করিয়ে দেবে, কোনো স্বৈরাচারী ব্যবস্থা এ দেশে টিকতে পারবে না। সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে এবং দেশের সর্বস্তর থেকে ফ্যাসিবাদের বীজ উপড়ে ফেলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, মুগ্ধ মঞ্চ হবে এমন এক গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে রাজনৈতিক গবেষণা, মুক্ত বিতর্ক এবং সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটবে। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র চর্চার সবচেয়ে বড় স্থান হলো গণপরিসর বা পাবলিক স্পেস, যেখানে বিভিন্ন মতের মানুষের মিলন ঘটে। এ কারণেই নাগরিক ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে গণপরিসর উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, আমরা পুরনো বাংলাদেশে ফিরতে চাই না। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা আমাদের করতে হবে এবং আমরা তা করব।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জুলাইয়ের শহিদ ও আহতরা আমাদের বিদ্রোহী হতে শিখিয়েছে, তারা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। যদি ‘জুলাই সনদ’-এর আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ঢাকার যেসব স্থানে জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনকারীরা পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছেন, সেখানে স্থায়ীভাবে স্মৃতিচিহ্ন বা ‘মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণ করা হবে। জুলাই আন্দোলনের শহিদ পরিবারের সদস্য এবং আহত আন্দোলনকারীরাও আলোচনায় অংশ নেন। জুলাই শহিদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন্নাহার তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ে জুলাই আন্দোলনে সব হত্যার বিচার চাই।
জুলাই আন্দোলনে আহত আব্দুল আজিজ বলেন, জুলাইয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব ধ্বংস করতে টার্গেট করে গুলি চালানো হয়েছিল। যারা উত্তরায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।