ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় জ্বলছে রুশ তেল ডিপো

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী অবকাশযাপন নগরী সোচির কাছে একটি বিশাল তেল ডিপোতে আগুন লেগেছে। একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলাকে এর জন্য দায়ী করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। সোচির নিকটবর্তী বিমানবন্দরটি ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

রোববার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ক্রাসনোদার অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কন্দ্রাতিয়েভ জানিয়েছেন, একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জ্বালানিভর্তি একটি ট্যাঙ্কে পড়লে আগুন ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২৭ জন দমকল কর্মী কাজ করছেন।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। শহরটিতে অন্তত সাতজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের জরুরি সেবাবিভাগ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, সোচির তেল শোধনাগারে হামলাটি ছিল ইউক্রেনের চালানো একাধিক ড্রোন হামলার একটি, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রিয়াজান, পেনজা ও ভোরোনেজের বিভিন্ন স্থাপনা। ভোরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে এক ড্রোন হামলায় চারজন আহত হয়েছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক রাতেই তারা ৯৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ৬০টি কৃষ্ণসাগর অঞ্চলেই ধরা পড়ে।

অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর ৮৩টি ড্রোন বা ৭৬টি ড্রোন ও ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ৬১টি প্রতিহত করা হয়েছে। বাকি ১৬টি ড্রোন ও ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের আটটি স্থানে আঘাত হেনেছে।

এই হামলার ঘটনা এমন এক সময় ঘটলো যখন গত সপ্তাহটি ছিল ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী সময়গুলোর একটি। গত বৃহস্পতিবার কিয়েভে চালানো এক হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, ওই হামলায় রাশিয়া ৩০০টির বেশি ড্রোন ও ৮টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভে এটিই অন্যতম ভয়াবহ হামলা।

এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এর আগে গত জুলাই মাসেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পুতিন যদি ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না করেন, তাহলে রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য রপ্তানির ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর গত সোমবার তিনি নতুন করে ১০ বা ১২ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা পরে তিনি বাড়িয়ে ৮ আগস্ট পর্যন্ত করেন।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় জ্বলছে রুশ তেল ডিপো

আপডেট সময় : ০২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী অবকাশযাপন নগরী সোচির কাছে একটি বিশাল তেল ডিপোতে আগুন লেগেছে। একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলাকে এর জন্য দায়ী করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। সোচির নিকটবর্তী বিমানবন্দরটি ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

রোববার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ক্রাসনোদার অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কন্দ্রাতিয়েভ জানিয়েছেন, একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জ্বালানিভর্তি একটি ট্যাঙ্কে পড়লে আগুন ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২৭ জন দমকল কর্মী কাজ করছেন।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। শহরটিতে অন্তত সাতজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের জরুরি সেবাবিভাগ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, সোচির তেল শোধনাগারে হামলাটি ছিল ইউক্রেনের চালানো একাধিক ড্রোন হামলার একটি, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রিয়াজান, পেনজা ও ভোরোনেজের বিভিন্ন স্থাপনা। ভোরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে এক ড্রোন হামলায় চারজন আহত হয়েছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক রাতেই তারা ৯৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে ৬০টি কৃষ্ণসাগর অঞ্চলেই ধরা পড়ে।

অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর ৮৩টি ড্রোন বা ৭৬টি ড্রোন ও ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ৬১টি প্রতিহত করা হয়েছে। বাকি ১৬টি ড্রোন ও ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের আটটি স্থানে আঘাত হেনেছে।

এই হামলার ঘটনা এমন এক সময় ঘটলো যখন গত সপ্তাহটি ছিল ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী সময়গুলোর একটি। গত বৃহস্পতিবার কিয়েভে চালানো এক হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, ওই হামলায় রাশিয়া ৩০০টির বেশি ড্রোন ও ৮টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভে এটিই অন্যতম ভয়াবহ হামলা।

এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এর আগে গত জুলাই মাসেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পুতিন যদি ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না করেন, তাহলে রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য রপ্তানির ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর গত সোমবার তিনি নতুন করে ১০ বা ১২ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা পরে তিনি বাড়িয়ে ৮ আগস্ট পর্যন্ত করেন।

এসি/