ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বে রেকর্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ৮২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বজ্রপাত

  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান। এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।

২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়।

স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বজ্রপাতের রেকর্ডও প্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১৮ জুন উরুগুয়ে ও উত্তর আর্জেন্টিনার আকাশে একটি বজ্রপাত টানা ১৭ দশমিক ১ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়া ও জলবায়ুর চরম অবস্থা বিষয়ক প্রতিবেদক অধ্যাপক র‌্যান্ডাল সারভেনি বলেন, এমন দীর্ঘতম বজ্রপাতের ঘটনার দৈনন্দিন প্রভাব রয়েছে। বজ্রপাত মূল উৎস থেকে অনেক দূরেও আঘাত হানতে পারে। তাই বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে মানুষকে বাইরে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পানির লাইন আছে এমন মজবুত ভবন অথবা সম্পূর্ণ বদ্ধ ধাতব ছাদবিশিষ্ট গাড়ির মধ্যে আশ্রয় নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)।

সূত্র: ইউএনবি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বে রেকর্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ৮২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বজ্রপাত

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান। এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।

২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়।

স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বজ্রপাতের রেকর্ডও প্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১৮ জুন উরুগুয়ে ও উত্তর আর্জেন্টিনার আকাশে একটি বজ্রপাত টানা ১৭ দশমিক ১ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়া ও জলবায়ুর চরম অবস্থা বিষয়ক প্রতিবেদক অধ্যাপক র‌্যান্ডাল সারভেনি বলেন, এমন দীর্ঘতম বজ্রপাতের ঘটনার দৈনন্দিন প্রভাব রয়েছে। বজ্রপাত মূল উৎস থেকে অনেক দূরেও আঘাত হানতে পারে। তাই বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে মানুষকে বাইরে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পানির লাইন আছে এমন মজবুত ভবন অথবা সম্পূর্ণ বদ্ধ ধাতব ছাদবিশিষ্ট গাড়ির মধ্যে আশ্রয় নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)।

সূত্র: ইউএনবি