সুজাউদ্দৌলা সুজন, জামালপুর: জামালপুর পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড শাহাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আনজুর গলি নামে পরিচিত স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী বন্যা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জান্নাতুল ফেরদৌসী বন্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ইকরামুল হক তালুকদার হিটলুর ছোট ভাই ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্ত্রী।
সম্প্রতি শাহাপুর গ্রামের আরিফ আহমেদ চিকুর ক্রয়কৃত ১ শতাংশ ৩৭ পয়েন্ট জমিতে পড়েছে তাদের কুনজর জোড়পূর্বক দখল নিতে কৌশল অবলম্বন করে গোপনে ইট, বালি, সিমেন্ট ও মিস্ত্রি খরচের যোগান দিয়ে হীরার স্ত্রী মালা বেগমের মাধ্যমে আরিফ আহমেদের জমি বেদখলের চেষ্টা করছেন। আরিফ কাজে বাঁধা দিলে পুলিশি ভয় দেখিয়ে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করেন। পরে বিভিন্ন কৌশলে আরিফকে চাপ প্রয়োগ করে চাঁদার টাকাটা বুঝে নেন মালা বেগম জনসমক্ষে। মালা বেগম আরিফ কে জমি বুঝিয়ে দিয়ে অনন্ত্র সড়ে যান,তখন আরিফ তার জমিতে বাউন্ডারি কাজ শুরু করলে শুরু হয় আরেক বিপত্তি কাজে বাধা দেয় বন্যার ভাই ফাহিম ও তার মা ফেন্সি বেগম। এ সময় নতুন করে দাবী করেন এই জমি বন্যার এখানে কাজ করা যাবেনা যে পর্যন্ত বন্যা জামালপুর না আসবে। এদিকে ফাহিম সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে বাউন্ডারী দেয়ালটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
ফেন্সি বেগম বন্যাকে ফোনে রেখে বারবার বলতে থাকে পুলিশ পাঠাও পুলিশ পাঠাও এগুলা শুনে মিস্ত্রিরা কাজ ফেলে ভয়ে চলে যায়। কয়েকদিন পর আবার কাজ শুরু করলে কাজের ঠিক একদিন পরে বন্যা নিজে এসে এটা তার জমি দাবি করে আবার দেয়ালগুলা ঘুড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় এই ভূমিদস্যু নারী একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আরিফ আহমেদসহ কয়েজনকে আসামী করে মামলা রুজু করে জামালপুর সদর থানায়।
সদর থানা সেই মামলাটির সুষ্ঠ তদন্ত না করেই রুজু করে দেন। আর এতেই সাধারন ব্যবসায়ী আরিফসহ অনেকেই অপরাধ না করেও অদৃশ্য কারণে অপরাধী হয়ে যান। আরিফ মাহমুদ বলেছেন যদি বন্যা ও তার মা ফেন্সি বেগম এই জমির কোন কাগজ উপস্থাপন করতে পারে তাহলে আমি তাদের জমি দিয়ে দেবো। এই জমি নিয়ে অনেকবার বসা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন দলিলপত্র দেখাতে পারেনি। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার জমি বেদখলের পাঁয়তারা করছে বন্যা ও তার মা ফেন্সি বেগম।
এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী।
অদৃশ প্রশ্রয়ে প্রকাশ্যে সাবেক এমপির সহকারী ভূমিখেঁকো মিজান
এদিকে জামালপুরে সাবেক সাংসদের একান্ত সহকারী গেটপার দীপ্ত মোবাইল সার্ভিসের কর্ণধার মিজান প্রকাশ্যে থাকলেও অলৌকিক শক্তির কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত ৫ আগস্টের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা যখন মামলা হামলার ভয়ে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর বাড়ি ফেলে অন্য গন্তব্যে চলে গেছে। ঠিক সেই সময়, অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো প্রতিদিন দোকান করে যাচ্ছে, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের ব্যক্তিগত সহকারী ও সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বন্ধু মিজান।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপনজন খ্যাত সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের ক্ষমতার দাপটে কালোকে সাদা করাই ছিল তার কাজ। ফিল্মি স্টাইলে অসহায় মানুষের জমি দখলসহ এমপির অনৈতিক সকল কাজের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গ্রাম থেকে সাধারণ জনগণ তার দীপ্ত মোবাইল সার্ভিসের কর্ণধার মোবাইল ঠিক করতে আসলে, ঠিক হওয়ার পর দ্বিগুণ মুনাফা নিতো। একই সঙ্গে প্রভাব খাঁটিয়ে চুরাই মোবাইলের কিনা বেচা তথ্য পাওয়া যায়। অদৃশ্য শক্তি আশ্রয়ে এখন তিনি আরো পাওয়ারফুল। ক্ষমতা খাঁটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী অনেকে পালিয়ে গেলেও। তিনি দাম্ভিকতার সাথে জামালপুর শহর চুষে বেড়াচ্ছে, আবারো নতুন কায়দায়, নিজেকে উপস্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
একটি সূত্রে জানা গেছে, মিজানের অবৈধ জমিদখললসহ ব্যবসা চালু রাখতে মিউচুয়াল টেকনিক অবলম্বন করে, আবারো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সব ধরাছোঁয়ার বাইরে তার অবস্থান। সাবেক এই এমপি সহকারী, এখনো কিভাবে জামালপুর শহরের জিগাতলা মহিলা কলেজের সামনের মতো স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ