ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের ২১ দফা প্রস্তাব

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত সেমিনারে বক্তা ও অতিথিবৃন্দ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য ২১ দফা প্রস্তাব হালনাগাদ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, যা চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা হবে।
দেশের নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাবগুলো হালনাগাদ করার তথ্য তুলে ধরে সুজন এর তরফে বলা হয়েছে, দ্বিকক্ষ সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ ‘শাসিত’ সরকার, ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ সদস্য প্রত্যাহার, মৌলিক অধিকারের পরিধি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় তাদের প্রস্তাবে স্থান পেয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে ঢাকার খামারবাড়ী এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে সুজন সদস্য একরাম হোসেন এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে নাগরিক সংগঠন সুজন-এর পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদের একটি খসড়া তৈরি করে জনমত যাচাইয়ের লক্ষ্যে অনেকগুলো সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল। এ সকল সংলাপ থেকে প্রাপ্ত নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সুজন প্রস্তাবিত জাতীয় সনদটি হালনাগাদ করেছে। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা হবে।

সুজনের ২১ প্রস্তাবে যেসব বিষয় এসেছে তার মধ্যে কয়েকটির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। সেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা। তবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের গঠন ও সদস্য নির্বাচন পদ্ধতি), নারী আসন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন পদ্ধতিসহ আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শেষে ৩১ জুলাই চুড়ান্ত জাতীয় সনদ প্রকাশ করার অঙ্গীকার রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের, যার আলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সেমিনারে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদটি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, বৈপ্লবিক পরিবর্তন না আসলেও যেগুলোতে ঐকমত্য এসেছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলেও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সত্যিকার অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এমএ মতিন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলোীপ কুমার সরকার।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন ভর্তি, ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

রাষ্ট্র সংস্কারে সুজনের ২১ দফা প্রস্তাব

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য ২১ দফা প্রস্তাব হালনাগাদ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, যা চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা হবে।
দেশের নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাবগুলো হালনাগাদ করার তথ্য তুলে ধরে সুজন এর তরফে বলা হয়েছে, দ্বিকক্ষ সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ ‘শাসিত’ সরকার, ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ সদস্য প্রত্যাহার, মৌলিক অধিকারের পরিধি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় তাদের প্রস্তাবে স্থান পেয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে ঢাকার খামারবাড়ী এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে সুজন সদস্য একরাম হোসেন এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে নাগরিক সংগঠন সুজন-এর পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদের একটি খসড়া তৈরি করে জনমত যাচাইয়ের লক্ষ্যে অনেকগুলো সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল। এ সকল সংলাপ থেকে প্রাপ্ত নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সুজন প্রস্তাবিত জাতীয় সনদটি হালনাগাদ করেছে। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা হবে।

সুজনের ২১ প্রস্তাবে যেসব বিষয় এসেছে তার মধ্যে কয়েকটির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। সেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা। তবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের গঠন ও সদস্য নির্বাচন পদ্ধতি), নারী আসন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন পদ্ধতিসহ আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শেষে ৩১ জুলাই চুড়ান্ত জাতীয় সনদ প্রকাশ করার অঙ্গীকার রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের, যার আলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সেমিনারে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদটি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, বৈপ্লবিক পরিবর্তন না আসলেও যেগুলোতে ঐকমত্য এসেছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলেও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সত্যিকার অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এমএ মতিন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলোীপ কুমার সরকার।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ