নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।
শনিবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।
বাস্তবতা হলো, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বহির্ভূত উৎস থেকে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি গণপরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। অনেক সময় এসব বাসে অস্থায়ীভাবে ‘ইধহমষধফবংয অৎসু’ লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু গণপরিবহন সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো রেখে দেয়, যা একটি আইনবহির্ভূত কাজ। একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং পেশাদারত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।