ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

হংকংয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: হংকংয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হংকংয়ের সমাজকল্যাণ দপ্তরের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক হাজার ৫০৪টি নতুন শিশু নির্যাতনের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে; যা আগের চেয়ে ৪৭টি বেশি। খবর দ্য স্টান্ডার্ডের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার শিশুদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মেয়ে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ নির্যাতনের ধরন ছিল যৌন নির্যাতন। ৫২২ জন মেয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ৪৫৫টি ছিল যৌন নির্যাতন। এসবের মধ্যে নয়টি শিশু ছিল মাত্র পাঁচ বছর বা তার চেয়েও কম বয়সী, এমনকি এক শিশুর বয়স ছিল দুই বছরেরও কম। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বয়স ছিল ১২ থেকে ১৪ বছর। এই বয়সের ২৫২ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যা মোট ঘটনার ৩০ শতাংশ। উদ্বেগের বিষয় হলোÑ যৌন নির্যাতনকারীদের মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ছিল ১৬ বছরের কম এবং বেশিরভাগই ছিল পুরুষ।

সবচেয়ে বেশি শারীরিক নির্যাতন: সবচেয়ে বেশি যে ধরনের নির্যাতন হয়েছে, তা হলো শারীরিক নির্যাতন। এ ধরনের মোট ৫৯৫টি ঘটনা ঘটেছে; যা মোট ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ। শারীরিক নির্যাতনের শিকারদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ছিল ছেলেশিশু। প্রায় ৯০ শতাংশ নির্যাতিত শিশু ছিল চীনা জাতিগোষ্ঠীর। তবে ২২টি ঘটনা ছিল সংখ্যালঘুদের মধ্যে, যেমন- ইন্দোনেশিয়ান, ফিলিপিনো ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের শিশুদের নিয়ে।

যে এলাকায় বেশি ঘটনা: হংকংয়ের ইউয়েন লং এলাকায় সবচেয়ে বেশি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছেÑ মোট ১৯০টি। এর পর রয়েছে টুন মুন এলাকায় ১৫২টি এবং কুন টং এলাকায় ১৪২টি। তবে জনসংখ্যার তুলনায় টুন মুন এলাকায় শিশু নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশিÑ প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ২.২৬টি ঘটনা। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ঘটনা ঘটেছে ওয়ান চাই এলাকায়Ñ মাত্র ৫টি ঘটনা; যা মোটের মাত্র ০.৩ শতাংশ।

নির্যাতনকারীদের ধরন: প্রতিবেদন বলছে, প্রায় ৬২ শতাংশ মামলায় নির্যাতনকারীদের মানসিক বা আবেগজনিত সমস্যা ছিল। এ ছাড়া খারাপ অভিভাবকত্ব, মাদকসেবন (১৯৫টি ঘটনায়), অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব, পারিবারিক সহায়তার অভাব এবং শিশুদের আচরণগত সমস্যা ও বিশেষ শিক্ষাগত চাহিদা- সবই শিশু নির্যাতনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হংকংয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: হংকংয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হংকংয়ের সমাজকল্যাণ দপ্তরের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক হাজার ৫০৪টি নতুন শিশু নির্যাতনের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে; যা আগের চেয়ে ৪৭টি বেশি। খবর দ্য স্টান্ডার্ডের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার শিশুদের মধ্যে ৬০ শতাংশই মেয়ে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ নির্যাতনের ধরন ছিল যৌন নির্যাতন। ৫২২ জন মেয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ৪৫৫টি ছিল যৌন নির্যাতন। এসবের মধ্যে নয়টি শিশু ছিল মাত্র পাঁচ বছর বা তার চেয়েও কম বয়সী, এমনকি এক শিশুর বয়স ছিল দুই বছরেরও কম। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বয়স ছিল ১২ থেকে ১৪ বছর। এই বয়সের ২৫২ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যা মোট ঘটনার ৩০ শতাংশ। উদ্বেগের বিষয় হলোÑ যৌন নির্যাতনকারীদের মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ছিল ১৬ বছরের কম এবং বেশিরভাগই ছিল পুরুষ।

সবচেয়ে বেশি শারীরিক নির্যাতন: সবচেয়ে বেশি যে ধরনের নির্যাতন হয়েছে, তা হলো শারীরিক নির্যাতন। এ ধরনের মোট ৫৯৫টি ঘটনা ঘটেছে; যা মোট ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ। শারীরিক নির্যাতনের শিকারদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ছিল ছেলেশিশু। প্রায় ৯০ শতাংশ নির্যাতিত শিশু ছিল চীনা জাতিগোষ্ঠীর। তবে ২২টি ঘটনা ছিল সংখ্যালঘুদের মধ্যে, যেমন- ইন্দোনেশিয়ান, ফিলিপিনো ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের শিশুদের নিয়ে।

যে এলাকায় বেশি ঘটনা: হংকংয়ের ইউয়েন লং এলাকায় সবচেয়ে বেশি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছেÑ মোট ১৯০টি। এর পর রয়েছে টুন মুন এলাকায় ১৫২টি এবং কুন টং এলাকায় ১৪২টি। তবে জনসংখ্যার তুলনায় টুন মুন এলাকায় শিশু নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশিÑ প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ২.২৬টি ঘটনা। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ঘটনা ঘটেছে ওয়ান চাই এলাকায়Ñ মাত্র ৫টি ঘটনা; যা মোটের মাত্র ০.৩ শতাংশ।

নির্যাতনকারীদের ধরন: প্রতিবেদন বলছে, প্রায় ৬২ শতাংশ মামলায় নির্যাতনকারীদের মানসিক বা আবেগজনিত সমস্যা ছিল। এ ছাড়া খারাপ অভিভাবকত্ব, মাদকসেবন (১৯৫টি ঘটনায়), অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব, পারিবারিক সহায়তার অভাব এবং শিশুদের আচরণগত সমস্যা ও বিশেষ শিক্ষাগত চাহিদা- সবই শিশু নির্যাতনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ