নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশে তার প্রথম সরকারি সফর শেষ করেছেন। সফর শেষে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক সবসময় পাশে থাকবে এবং জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধিতে সরকারের গৃহীত সাহসী সংস্কারের প্রশংসা করেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জোহানেস জুট জানান, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এ অর্থ ব্যয় হচ্ছে স্বাস্থ্য, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, সামাজিক সুরক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আর্থিক ও সরকারি খাত সংস্কারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এখানকার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। বিশ্বব্যাংকের দীর্ঘদিনের অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা এদেশে কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা অর্থনীতি ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে সহায়তা করবো।
সফরকালে তিনি অর্থ উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূতসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব আলোচনায় দেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) আওতায় বাংলাদেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ ও স্বল্প সুদের ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি। এসব অর্থ দেশের অগ্রাধিকার খাতগুলোর উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ