ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ইউটিউবে মনিটাইজেশন নীতিতে বড় পরিবর্তন

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: মনিটাইজেশন নীতিতে বড় আপডেট আনার ঘোষণা দিয়েছে অনলাইনে শীর্ষ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব, যেটি কার্যকর হবে ‘ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম’ বা ওয়াইপিপি-এর আওতায়।
এসব পরিবর্তন অনেক নতুন নির্মাতার ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে যারা বেশি করে এআই টুল, রিঅ্যাকশন ফরম্যাট বা ক্লিপ কম্পাইলেশন ব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এমএসএন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) থেকে কী পরিবর্তন আনা শুরু করেছে ইউটিউব, এবং নির্মাতাদের জন্য এ পরিবর্তনের মানেই বা কী-এ বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে এই প্রতিবেদনে।

মনিটাইজেশন নীতিতে কী পরিবর্তন: ইউটিউব বলছে, এ আপডেটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নকল বা ভুয়া ও বড় সংখ্যায় তৈরি হওয়া কনটেন্টকে ভালোভাবে শনাক্ত করা। প্ল্যাটফর্মটি স্পষ্ট করেছে, নতুন এসব নিয়ম রিঅ্যাকশন বা কম্পিলেশন ভিডিওর ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং প্লাটফর্মটিতে থাকা মনিটাইজেশনের বিভিন্ন মানদ-কে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।

ইউটিউবের সম্পাদকীয় প্রধান রেনে রিচি বলেছেন, ইউটিউবের দীর্ঘদিনের ওয়াইপিপি নীতিতে এক ছোট আকারের আপডেট এটি, যা আমাদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে কখন কোন কনটেন্ট বড় সংখ্যায় বা বারবার তৈরি করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে রিঅ্যাকশন ভিডিও বা কম্পাইলেশনের মধ্যে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকতে হবে, যেমন নিজস্ব মন্তব্য, সম্পাদনা বা কনটেন্টের নতুন রূপান্তর। একইভাবে, টিউটোরিয়াল বা ব্লগ তৈরির বিভিন্ন চ্যানেলে কেবল পুরানো ক্লিপ, স্টক ভিডিও বা টেক্সট-টু-স্পিচ ভয়েসওভারের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না নির্মাতারা। এ আপডেটের মাধ্যমে বাড়তে থাকা এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন ভিডিওকেও টার্গেট করছে ইউটিউব। যেসব চ্যানেল মানুষের সহযোগিতা ছাড়া কেবল এআই কনটেন্টের ওপর বেশি নির্ভর করে তৈরি, তারা নিজেদের মনিটাইজেশন হারাতে পারেন।

পরিবর্তনের পরও যা একই থাকছে: ইউটিউব মনিটাইজেশনের মূল শর্তগুলো একই রয়েছে। নির্মাতাদের এখনও ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে আবেদন করতে নি¤œলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। যেমন-

১। এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে

২। গত ১২ মাস বা এক বছরে পাবলিকলি দেখা বিভিন্ন ভিডিওর মোট ভিউ সময় চার হাজার ঘণ্টা হতে হবে।

৩। গত ৯০ দিনে ১ কোটি বৈধ শর্ট ভিউ থাকতে হবে।

যে কারণে পরিবর্তন আনল ইউটিউব: ইউটিউব মনিটাইজেশন নীতিতে এসব পরিবর্তন এমন সময়ে এল যখন অনেক ফেসলেস বা মুখবিহীন এআইনির্ভর চ্যানেলের পরিমাণ বাড়ছে, যা ভিডিওর গুণগত মানের বদলে পরিমাণকে আগ্রাধিকার দিচ্ছে বেশি। এসব চ্যানেল অনেক সময় সত্যিকারের প্রচেষ্টা বা সৃজনশীলতা ছাড়া পুরানো কনটেন্ট পুনরায় ব্যবহার করে।

ইউটিউব বলছে, নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো সত্যতা, সৃজনশীলতা ও নিজস্ব অবদানের জন্য নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা। প্লাটফর্মটির মূল উদ্দেশ্যের দিকে ফিরে যাওয়ার সংকেত এটি, যেখানে কনটেন্টে নির্মাতাদের কণ্ঠস্বর, ব্যক্তিত্ব ও আবেগই কেবল প্রতিফলিত হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইউটিউবে মনিটাইজেশন নীতিতে বড় পরিবর্তন

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: মনিটাইজেশন নীতিতে বড় আপডেট আনার ঘোষণা দিয়েছে অনলাইনে শীর্ষ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব, যেটি কার্যকর হবে ‘ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম’ বা ওয়াইপিপি-এর আওতায়।
এসব পরিবর্তন অনেক নতুন নির্মাতার ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে যারা বেশি করে এআই টুল, রিঅ্যাকশন ফরম্যাট বা ক্লিপ কম্পাইলেশন ব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এমএসএন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) থেকে কী পরিবর্তন আনা শুরু করেছে ইউটিউব, এবং নির্মাতাদের জন্য এ পরিবর্তনের মানেই বা কী-এ বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে এই প্রতিবেদনে।

মনিটাইজেশন নীতিতে কী পরিবর্তন: ইউটিউব বলছে, এ আপডেটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নকল বা ভুয়া ও বড় সংখ্যায় তৈরি হওয়া কনটেন্টকে ভালোভাবে শনাক্ত করা। প্ল্যাটফর্মটি স্পষ্ট করেছে, নতুন এসব নিয়ম রিঅ্যাকশন বা কম্পিলেশন ভিডিওর ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং প্লাটফর্মটিতে থাকা মনিটাইজেশনের বিভিন্ন মানদ-কে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।

ইউটিউবের সম্পাদকীয় প্রধান রেনে রিচি বলেছেন, ইউটিউবের দীর্ঘদিনের ওয়াইপিপি নীতিতে এক ছোট আকারের আপডেট এটি, যা আমাদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে কখন কোন কনটেন্ট বড় সংখ্যায় বা বারবার তৈরি করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে রিঅ্যাকশন ভিডিও বা কম্পাইলেশনের মধ্যে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকতে হবে, যেমন নিজস্ব মন্তব্য, সম্পাদনা বা কনটেন্টের নতুন রূপান্তর। একইভাবে, টিউটোরিয়াল বা ব্লগ তৈরির বিভিন্ন চ্যানেলে কেবল পুরানো ক্লিপ, স্টক ভিডিও বা টেক্সট-টু-স্পিচ ভয়েসওভারের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না নির্মাতারা। এ আপডেটের মাধ্যমে বাড়তে থাকা এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন ভিডিওকেও টার্গেট করছে ইউটিউব। যেসব চ্যানেল মানুষের সহযোগিতা ছাড়া কেবল এআই কনটেন্টের ওপর বেশি নির্ভর করে তৈরি, তারা নিজেদের মনিটাইজেশন হারাতে পারেন।

পরিবর্তনের পরও যা একই থাকছে: ইউটিউব মনিটাইজেশনের মূল শর্তগুলো একই রয়েছে। নির্মাতাদের এখনও ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে আবেদন করতে নি¤œলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। যেমন-

১। এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে

২। গত ১২ মাস বা এক বছরে পাবলিকলি দেখা বিভিন্ন ভিডিওর মোট ভিউ সময় চার হাজার ঘণ্টা হতে হবে।

৩। গত ৯০ দিনে ১ কোটি বৈধ শর্ট ভিউ থাকতে হবে।

যে কারণে পরিবর্তন আনল ইউটিউব: ইউটিউব মনিটাইজেশন নীতিতে এসব পরিবর্তন এমন সময়ে এল যখন অনেক ফেসলেস বা মুখবিহীন এআইনির্ভর চ্যানেলের পরিমাণ বাড়ছে, যা ভিডিওর গুণগত মানের বদলে পরিমাণকে আগ্রাধিকার দিচ্ছে বেশি। এসব চ্যানেল অনেক সময় সত্যিকারের প্রচেষ্টা বা সৃজনশীলতা ছাড়া পুরানো কনটেন্ট পুনরায় ব্যবহার করে।

ইউটিউব বলছে, নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো সত্যতা, সৃজনশীলতা ও নিজস্ব অবদানের জন্য নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা। প্লাটফর্মটির মূল উদ্দেশ্যের দিকে ফিরে যাওয়ার সংকেত এটি, যেখানে কনটেন্টে নির্মাতাদের কণ্ঠস্বর, ব্যক্তিত্ব ও আবেগই কেবল প্রতিফলিত হবে।