ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি করতে আলী রীয়াজকে চিঠি আইনজীবীর

  • আপডেট সময় : ০৯:১২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান -ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বুধবার (২ জুলাই) এ চিঠি পাঠান। তিনি বলেছেন, গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুপুরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে এ আইনজীবী বলেছেন, তিনি গভীরভাবে লক্ষ করছেন যে জাতীয় স্বার্থে গঠিত ঐকমত্য কমিশন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করে একটি সমন্বিত সংস্কার পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবিত সংস্কারবিষয়ক আলোচনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এসব অমীমাংসিত ইস্যুর মধ্যে নির্বাচনপদ্ধতির পরিবর্তন, সংসদীয় ক্ষমতার ভারসাম্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা, রাজনৈতিক অর্থায়নের স্বচ্ছতা, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এসব ইস্যু দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাববাহী। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সমঝোতার অভাবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনির্ধারিত থাকলে তা একদিকে যেমন গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে, অন্যদিকে তেমনি সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণেও ঘাটতি থাকবে।

এ প্রেক্ষাপটে দেশের নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক জনগণের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি বিস্তৃত গণশুনানি প্রক্রিয়া পরিচালনা করা জরুরি বলে বিশ্বাস করেন চিঠিদাতা এ আইনজীবী। চিঠিতে আরো বলা হয়, গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে গণতান্ত্রিক রায় প্রতিফলিত হবে। পাশাপাশি কমিশনের সিদ্ধান্তে জনসমর্থন বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক দলগুলোও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য হবে। সর্বোপরি একটি দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সংস্কার কাঠামো প্রতিষ্ঠা পাবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বরাবরে পাঠানো চিঠির শেষাংশে এ আইনজীবী বলেছেন, ‘বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, অতিসত্বর এক বা একাধিক ধাপে গণশুনানির আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করুন, যেখানে সাধারণ জনগণ, সুশীল সমাজ, নাগরিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবীরা তাঁদের যুক্তিগ্রাহ্য মতামত ও প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারবেন।’

আইনজীবী তাঁর চিঠিতে আরো বলেছেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন আলী রীয়াজ এই আবেদনের গুরুত্ব অনুধাবন করে কমিশনের নীতিগত স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত

অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি করতে আলী রীয়াজকে চিঠি আইনজীবীর

আপডেট সময় : ০৯:১২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বুধবার (২ জুলাই) এ চিঠি পাঠান। তিনি বলেছেন, গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুপুরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে এ আইনজীবী বলেছেন, তিনি গভীরভাবে লক্ষ করছেন যে জাতীয় স্বার্থে গঠিত ঐকমত্য কমিশন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করে একটি সমন্বিত সংস্কার পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবিত সংস্কারবিষয়ক আলোচনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এসব অমীমাংসিত ইস্যুর মধ্যে নির্বাচনপদ্ধতির পরিবর্তন, সংসদীয় ক্ষমতার ভারসাম্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা, রাজনৈতিক অর্থায়নের স্বচ্ছতা, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এসব ইস্যু দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাববাহী। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সমঝোতার অভাবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনির্ধারিত থাকলে তা একদিকে যেমন গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে, অন্যদিকে তেমনি সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণেও ঘাটতি থাকবে।

এ প্রেক্ষাপটে দেশের নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী সমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক জনগণের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি বিস্তৃত গণশুনানি প্রক্রিয়া পরিচালনা করা জরুরি বলে বিশ্বাস করেন চিঠিদাতা এ আইনজীবী। চিঠিতে আরো বলা হয়, গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে গণতান্ত্রিক রায় প্রতিফলিত হবে। পাশাপাশি কমিশনের সিদ্ধান্তে জনসমর্থন বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক দলগুলোও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য হবে। সর্বোপরি একটি দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সংস্কার কাঠামো প্রতিষ্ঠা পাবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বরাবরে পাঠানো চিঠির শেষাংশে এ আইনজীবী বলেছেন, ‘বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, অতিসত্বর এক বা একাধিক ধাপে গণশুনানির আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করুন, যেখানে সাধারণ জনগণ, সুশীল সমাজ, নাগরিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবীরা তাঁদের যুক্তিগ্রাহ্য মতামত ও প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারবেন।’

আইনজীবী তাঁর চিঠিতে আরো বলেছেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন আলী রীয়াজ এই আবেদনের গুরুত্ব অনুধাবন করে কমিশনের নীতিগত স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।