ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন না মিয়ানমারের প্রতিনিধি, আফগানিস্তানের হয়ে বলবেন ইসাকজাই

  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে চলমান সাধারণ পরিষদের এবারের বার্ষিক অধিবেশনের সূচিতে মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধির বক্তব্য দেওয়ার কথা নেই বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।
চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা নেওয়ার পর জাতিসংঘে মিয়ানমারের আসনের প্রকৃত দাবিদার নিয়ে জান্তা ও ক্ষমতাচ্যুত সরকার পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছিল। যে কারণে সাধারণ পরিষদে কে দেশটির হয়ে বলেন তা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল ছিল।
পাল্টাপাল্টি দাবি আছে আফগানিস্তানের আসন নিয়েও; তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের প্রতিনিধি গুলাম এম ইসাকজাই-ই সাধারণ পরিষদে দেশের হয়ে কথা বলবেন। আগামী সোমবার যারা ভাষণ দেবেন, সেই সূচিতে ইসাকজাইয়ের নাম আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের মিলনমেলা সোমবার ভাঙছে। ওইদিন মিয়ানমারের প্রতিনিধি কেয়াও মোয়ে তুন ভাষণ দেবেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল। “এখন বক্তাদের তালিকায় মিয়ানমার নেই,” বলেছেন স্টেফানে দুজারিক।
তুনকে নিয়োগ দিয়েছিল অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার। ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে নেওয়া সামরিক বাহিনী পরে অন্য একজনকে জাতিসংঘে মিয়ানমারের দূত হিসেবে মনোনয়ন দেয়।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের জাতিসংঘ আসন নিয়ে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একধরনের সমঝোতা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে তুন যদি বক্তৃতা না করেন, তাহলে তার মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে থাকার ব্যাপারে মস্কো ও বেইজিং আপত্তি জানাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। “আমি বক্তা তালিকা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি; সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনে বলবো না আমি,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন তুন। মিয়ানমারের জাতিসংঘ আসন নিয়ে ক্রেডেনসিয়াল কমিটির সদস্যদের মধ্যে যে একধরনের সমঝোতা হয়েছে সে বিষয়ে অবগত আছেন বলেও জানান এ কূটনীতিক।
জাতিসংঘের ক্রেডেনসিয়াল কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯। এতে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রও আছে। তুন না থাকলেও সোমবারের সূচিতে ইসাকজাইয়ের নাম আছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুজারিক। ইসাকজাই আফগানিস্তানের যে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেটি গত মাসে তালেবানের হাতে উৎখাত হয়েছে। তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে এবারের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি চান। তিনি জাতিসংঘে আফগানিস্তানের দূত হিসেবে কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটির দোহা কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহীনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি সংক্রান্ত ইস্যু দেখভাল করে ক্রেডেনসিয়াল কমিটি। সাধারণত প্রতিবছর অক্টোবর বা নভেম্বরে এই কমিটি বৈঠকে বসে।
ক্রেডেনসিয়াল কমিটি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত তুন ও ইসাকজাই-ই জাতির্সংঘে মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বহাল থাকছেন, জানিয়েছে রয়টার্স।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন না মিয়ানমারের প্রতিনিধি, আফগানিস্তানের হয়ে বলবেন ইসাকজাই

আপডেট সময় : ১১:৫১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে চলমান সাধারণ পরিষদের এবারের বার্ষিক অধিবেশনের সূচিতে মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধির বক্তব্য দেওয়ার কথা নেই বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।
চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা নেওয়ার পর জাতিসংঘে মিয়ানমারের আসনের প্রকৃত দাবিদার নিয়ে জান্তা ও ক্ষমতাচ্যুত সরকার পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছিল। যে কারণে সাধারণ পরিষদে কে দেশটির হয়ে বলেন তা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল ছিল।
পাল্টাপাল্টি দাবি আছে আফগানিস্তানের আসন নিয়েও; তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের প্রতিনিধি গুলাম এম ইসাকজাই-ই সাধারণ পরিষদে দেশের হয়ে কথা বলবেন। আগামী সোমবার যারা ভাষণ দেবেন, সেই সূচিতে ইসাকজাইয়ের নাম আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের মিলনমেলা সোমবার ভাঙছে। ওইদিন মিয়ানমারের প্রতিনিধি কেয়াও মোয়ে তুন ভাষণ দেবেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল। “এখন বক্তাদের তালিকায় মিয়ানমার নেই,” বলেছেন স্টেফানে দুজারিক।
তুনকে নিয়োগ দিয়েছিল অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার। ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে নেওয়া সামরিক বাহিনী পরে অন্য একজনকে জাতিসংঘে মিয়ানমারের দূত হিসেবে মনোনয়ন দেয়।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের জাতিসংঘ আসন নিয়ে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একধরনের সমঝোতা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে তুন যদি বক্তৃতা না করেন, তাহলে তার মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে থাকার ব্যাপারে মস্কো ও বেইজিং আপত্তি জানাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। “আমি বক্তা তালিকা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি; সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনে বলবো না আমি,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন তুন। মিয়ানমারের জাতিসংঘ আসন নিয়ে ক্রেডেনসিয়াল কমিটির সদস্যদের মধ্যে যে একধরনের সমঝোতা হয়েছে সে বিষয়ে অবগত আছেন বলেও জানান এ কূটনীতিক।
জাতিসংঘের ক্রেডেনসিয়াল কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯। এতে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রও আছে। তুন না থাকলেও সোমবারের সূচিতে ইসাকজাইয়ের নাম আছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুজারিক। ইসাকজাই আফগানিস্তানের যে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেটি গত মাসে তালেবানের হাতে উৎখাত হয়েছে। তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে এবারের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি চান। তিনি জাতিসংঘে আফগানিস্তানের দূত হিসেবে কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটির দোহা কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহীনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি সংক্রান্ত ইস্যু দেখভাল করে ক্রেডেনসিয়াল কমিটি। সাধারণত প্রতিবছর অক্টোবর বা নভেম্বরে এই কমিটি বৈঠকে বসে।
ক্রেডেনসিয়াল কমিটি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত তুন ও ইসাকজাই-ই জাতির্সংঘে মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বহাল থাকছেন, জানিয়েছে রয়টার্স।