নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার মব ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে দলের এই অবস্থানের কথা জানান তিনি। এদিন দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ তথ্য জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে, বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। তিনি বলেন, কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার গ্রেফতার প্রক্রিয়া এবং বিচার প্রক্রিয়া আইনগতভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। তবে তার ওপরে যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে, তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লেনারি অ্যাকশন (শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা) আমরা নেবো, এটা আমাদের অবস্থান। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা চাই কোনো ব্যক্তি যত বড় অপরাধীই হোন না কেন, তার আইনি এবং সাংবিধানিক অধিকার যেন অক্ষুণ্ন থাকে। যত বড় অপরাধীই হোন না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয়।
কে এম নূরুল হুদার দলীয়করণের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য এবং নির্বাচনি ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য যে কয়জন ব্যক্তি দায়ী তার মধ্যে কে এম নূরুল হুদা অন্যতম। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি কলুষিত এবং ধ্বংস করার জন্য আরো কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী। যেমন- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তবে আমরা কখনোই সেই অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না।
রোববার (২২ জুন) রাতে রাজধানীর উত্তরায় জনতার হাতে আটক হন কে এম নূরুল হুদা। পরে তাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।