ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

বিশ্ববাজারে তেলের দাম গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ

  • আপডেট সময় : ০৯:১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্ববাজারে তেলের দাম জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায়, তেলের দাম বেড়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তেলের দাম আরো বাড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী সোমবার সকাল ১টা ১৭ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স প্রতি ব্যারেল ১ দশমিক ৯২ ডলার বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ৯৩ ডলারে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ১ দশমিক ৮৯ ডলার বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৫ দশমিক ৭৩ ডলারে পৌঁছেছে। সেশনের শুরুর দিকে দুই ধরনের তেলের দামই ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে যথাক্রমে ৮১ দশমিক ৪০ ডলার ও ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে পৌঁছায়- যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইরান ওপেকভুক্ত তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ।
বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রণালি দিয়ে বিশ্বজুড়ে মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিবাহিত হয়। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে ভবিষ্যতে তেলের দাম আরো বাড়তে পারে।
ইরানের প্রেস টিভি জানায়, দেশটির পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যদিও অতীতেও ইরান এই প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে, তবে কখনও তা কার্যকর করেনি।
স্পার্টা কমোডিটিজ-এর সিনিয়র বিশ্লেষক জুন গোহ বলেছেন, যদিও বিকল্প পাইপলাইন রুট রয়েছে, তবে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে সব অপরিশোধিত তেল রপ্তানি সম্ভব হবে না। ফলে অনেক পরিবহণ সংস্থা ওই অঞ্চল থেকে দূরে থাকতে শুরু করবে।
গোল্ডম্যান শ্যাচস রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, যদি হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল পরিবহণ অর্ধেক কমে যায় এবং তা এক মাস স্থায়ী হয়, তাহলে ব্রেন্ট তেলের দাম স্বল্প সময়ের জন্য প্রতি ব্যারেল ১১০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, এবং পরবর্তী ১১ মাসে সরবরাহ ১০ শতাংশ কম থাকতে পারে। তবে ব্যাংকটি এখনও ধরে নিচ্ছে যে, বিশ্বজুড়ে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। কারণ বিশ্বব্যাপী এমন ব্যাঘাত ঠেকাতে সক্রিয় প্রচেষ্টা থাকবে। ১৩ জুন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রেন্ট তেলের দাম ১৩ শতাংশ বেড়েছে, আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ববাজারে তেলের দাম গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ

আপডেট সময় : ০৯:১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্ববাজারে তেলের দাম জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায়, তেলের দাম বেড়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তেলের দাম আরো বাড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী সোমবার সকাল ১টা ১৭ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স প্রতি ব্যারেল ১ দশমিক ৯২ ডলার বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ৯৩ ডলারে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ১ দশমিক ৮৯ ডলার বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৫ দশমিক ৭৩ ডলারে পৌঁছেছে। সেশনের শুরুর দিকে দুই ধরনের তেলের দামই ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে যথাক্রমে ৮১ দশমিক ৪০ ডলার ও ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে পৌঁছায়- যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইরান ওপেকভুক্ত তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ।
বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রণালি দিয়ে বিশ্বজুড়ে মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিবাহিত হয়। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে ভবিষ্যতে তেলের দাম আরো বাড়তে পারে।
ইরানের প্রেস টিভি জানায়, দেশটির পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যদিও অতীতেও ইরান এই প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে, তবে কখনও তা কার্যকর করেনি।
স্পার্টা কমোডিটিজ-এর সিনিয়র বিশ্লেষক জুন গোহ বলেছেন, যদিও বিকল্প পাইপলাইন রুট রয়েছে, তবে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে সব অপরিশোধিত তেল রপ্তানি সম্ভব হবে না। ফলে অনেক পরিবহণ সংস্থা ওই অঞ্চল থেকে দূরে থাকতে শুরু করবে।
গোল্ডম্যান শ্যাচস রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, যদি হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল পরিবহণ অর্ধেক কমে যায় এবং তা এক মাস স্থায়ী হয়, তাহলে ব্রেন্ট তেলের দাম স্বল্প সময়ের জন্য প্রতি ব্যারেল ১১০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, এবং পরবর্তী ১১ মাসে সরবরাহ ১০ শতাংশ কম থাকতে পারে। তবে ব্যাংকটি এখনও ধরে নিচ্ছে যে, বিশ্বজুড়ে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। কারণ বিশ্বব্যাপী এমন ব্যাঘাত ঠেকাতে সক্রিয় প্রচেষ্টা থাকবে। ১৩ জুন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রেন্ট তেলের দাম ১৩ শতাংশ বেড়েছে, আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।