ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
স্ত্রীরসহ ২১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ

‘বিদেশে পলাতক’ হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুন) এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।

গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাছান মাহমুদকে আর দেশে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এর মধ্যে গত রোজার ঈদে লন্ডনের একটি মসজিদে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন বলে খবর বেরোয়। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক এমপি হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুটি আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। পরে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

হাছান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী ও এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন হাছান মাহমুদ। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল দুদক মামলা করে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, স্বামী হাছান মাহমুদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নূরান ফাতেমা ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। গত ৬ এপ্রিল দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার।

২১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতির মামলা থাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ১টি জিপ গাড়ি ও ৯টি ব্যাংক হিসাব এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার ১২টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ জুন) দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল আমিন পৃথক দুই আবেদনে তাদের এসব সম্পদ ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। হাছান মাহমুদের ৯টি ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৪ টাকা। আর নূরান ফাতেমার ১২টি ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার ৪৬১ টাকা।

হাছান মাহমুদের সম্পদ ক্রোক আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (৬১) এমপির দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তার নিজ, যৌথ ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৬টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৬৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(১) (ঘ) ৩৫(১) (৪) ধারা লঙ্ঘন করায় ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে। আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা আবশ্যক।

নূরান ফাতেমার সম্পদ ক্রোক আবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকা মূল্যর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং নূরান ফাতেমা তার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন এর মাধ্যমে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অপরদিকে তার স্বামী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ মন্ত্রী থাকার সময় অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা এর নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করিয়ে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(১) (ঘ) ও ৫(১) (২) ধারা লঙ্ঘন করায় ৫(২) ধারায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা আবশ্যক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্ত্রীরসহ ২১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ

‘বিদেশে পলাতক’ হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৭:১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে যাওয়া দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুন) এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।

গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাছান মাহমুদকে আর দেশে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এর মধ্যে গত রোজার ঈদে লন্ডনের একটি মসজিদে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন বলে খবর বেরোয়। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক এমপি হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুটি আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। পরে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

হাছান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী ও এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন হাছান মাহমুদ। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল দুদক মামলা করে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, স্বামী হাছান মাহমুদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নূরান ফাতেমা ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। গত ৬ এপ্রিল দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার।

২১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতির মামলা থাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ১টি জিপ গাড়ি ও ৯টি ব্যাংক হিসাব এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার ১২টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ জুন) দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল আমিন পৃথক দুই আবেদনে তাদের এসব সম্পদ ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। হাছান মাহমুদের ৯টি ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৪ টাকা। আর নূরান ফাতেমার ১২টি ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার ৪৬১ টাকা।

হাছান মাহমুদের সম্পদ ক্রোক আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (৬১) এমপির দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তার নিজ, যৌথ ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৬টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৬৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(১) (ঘ) ৩৫(১) (৪) ধারা লঙ্ঘন করায় ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে। আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা আবশ্যক।

নূরান ফাতেমার সম্পদ ক্রোক আবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকা মূল্যর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং নূরান ফাতেমা তার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন এর মাধ্যমে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অপরদিকে তার স্বামী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ মন্ত্রী থাকার সময় অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা এর নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করিয়ে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(১) (ঘ) ও ৫(১) (২) ধারা লঙ্ঘন করায় ৫(২) ধারায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা আবশ্যক।