ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

‘ভালো খবরের আশায়’ আন্দোলনে বিরতি দিলেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা

  • আপডেট সময় : ০৭:১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের ছুটির পর টানা আন্দেলনের মধ্যে ‘ভালো খবরের আশায়’ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এক দিনের বিরতি দিয়েছেন সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি শেষে এমন ঘোষণা দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কোরবানির ঈদের ছুটির পর গত ১৫ জুন থেকে টানা মিছিল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন কর্মচারীরা। এই সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত একটি পর্যালোচনা কমিটি ওই অধ্যাদেশে সংশোধন আনার সুপারিশ করার ইঙ্গিত দিলেও আন্দোলন থামেনি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ওই পর্যালোচনা কমিটিতে রয়েছেন।

সোমবার কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ১১টার পর থেকেই কর্মচারী ইউনিয়নের অর্ধশত নেতাকর্মী জনপ্রশাসন লাইব্রেরিতে সমবেত হন। দুই ঘণ্টা বক্তৃতা, মতবিনিময় ও পর্যালোচনা শেষে ঘোষণা দিয়ে তারা নামাজ পড়তে চলে যান। কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা বাদিউল কবীর বলেন, “আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মন্ত্রণালয়গুলোতেও কর্মবিরতি পালন হচ্ছে। আমি ঘুরে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখে এসেছি। আগামী কাল আমরা ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে গণসংযোগ করব। আপনারাও কালকের মতো চলমান কর্মসূচিতে বিরতি দিয়ে গণসংযোগ শুরু করুন। বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার জন্য একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।

এর আগে আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, গতকাল (রোববার) একজন সাবেক সরকারি আমলাকে জনগণ ধরে কী পরিস্থিতি করেছে আপনারা সবাই দেখেছেন। কাজ করলে কাজের পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হবে। সেটা মাথায় রেখে এখনই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করুন। বদিউল কবির বলেন, সরকার যে আমাদের কথা একেবারেই শুনছে না তা কিন্তু নয়। কিছু বিষয় সবার সঙ্গে শেয়ার করি, কিছু বিষয় কৌশলগত কারণে শেয়ার করি না। যেমন আজকেও একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের জরুরি বৈঠক রয়েছে। সেখান থেকে কোনো ভালো খবর আসবে বলে আমরা আশা করি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ভালো খবরের আশায়’ আন্দোলনে বিরতি দিলেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা

আপডেট সময় : ০৭:১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের ছুটির পর টানা আন্দেলনের মধ্যে ‘ভালো খবরের আশায়’ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এক দিনের বিরতি দিয়েছেন সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি শেষে এমন ঘোষণা দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কোরবানির ঈদের ছুটির পর গত ১৫ জুন থেকে টানা মিছিল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন কর্মচারীরা। এই সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত একটি পর্যালোচনা কমিটি ওই অধ্যাদেশে সংশোধন আনার সুপারিশ করার ইঙ্গিত দিলেও আন্দোলন থামেনি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ওই পর্যালোচনা কমিটিতে রয়েছেন।

সোমবার কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ১১টার পর থেকেই কর্মচারী ইউনিয়নের অর্ধশত নেতাকর্মী জনপ্রশাসন লাইব্রেরিতে সমবেত হন। দুই ঘণ্টা বক্তৃতা, মতবিনিময় ও পর্যালোচনা শেষে ঘোষণা দিয়ে তারা নামাজ পড়তে চলে যান। কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা বাদিউল কবীর বলেন, “আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মন্ত্রণালয়গুলোতেও কর্মবিরতি পালন হচ্ছে। আমি ঘুরে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখে এসেছি। আগামী কাল আমরা ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে গণসংযোগ করব। আপনারাও কালকের মতো চলমান কর্মসূচিতে বিরতি দিয়ে গণসংযোগ শুরু করুন। বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার জন্য একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।

এর আগে আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, গতকাল (রোববার) একজন সাবেক সরকারি আমলাকে জনগণ ধরে কী পরিস্থিতি করেছে আপনারা সবাই দেখেছেন। কাজ করলে কাজের পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হবে। সেটা মাথায় রেখে এখনই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করুন। বদিউল কবির বলেন, সরকার যে আমাদের কথা একেবারেই শুনছে না তা কিন্তু নয়। কিছু বিষয় সবার সঙ্গে শেয়ার করি, কিছু বিষয় কৌশলগত কারণে শেয়ার করি না। যেমন আজকেও একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের জরুরি বৈঠক রয়েছে। সেখান থেকে কোনো ভালো খবর আসবে বলে আমরা আশা করি।