ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
তার স্বেচ্ছাচারিতায় তালিকায় নেই সাবেক সম্পাদক রিপন

পদত্যাগীকে আহ্বায়ক করে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর রিপন মল্লিক

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের পেছনে ফেলে কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সর্বত্রই।

গত ৬ জুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহাকে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মহিউদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৫৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর এ আহ্বায়ক কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পর থেকেই মুন্সীগঞ্জ জেলাজুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তালিকায় নেই মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর রিপন মল্লিকের নাম।

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে বিএনপির জনপ্রিয় মুখ আলী আজগর রিপন মল্লিক ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম টঙ্গীবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০১ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে তিনি বর্তমানে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

লোকমুখে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির রাজনীতিতে রিপন মল্লিকের বিকল্প কোনো নেতা না থাকলেও জেলা কমিটির তালিকায় নাম না থাকায় বেশ বেকায়দায় রয়েছেন এ নেতা। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি স্বচ্ছতার তালিকায় থাকলেও বর্তমান সময়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। আর এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

আলী আজগর রিপন মল্লিক বলেন, আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলায় নবগঠিত একটি কমিটি হয়েছে। এই কমিটিতে আসলে এক ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই এমন হয়েছে। আমি জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছি। ১৯৮৮ সালে আমি সর্বপ্রথম টঙ্গীবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই সম্মেলনের মাধ্যমে। ২০০১ সালে আমি টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হই এবং ২০০৯ সালে প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে আমি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন একটি নির্বাচন কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তির সাথে একটু সাংঘর্ষিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছিল। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন এবং বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা যতটুকু জানি, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরেই বসে তিনি তার এই পদত্যাগপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু এখন অজ্ঞাত কোনো কারণে তাকেই আবার জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার প্রতি বিদ্বেমূলক আচরণ করে আমাকে জেলা কমিটির পদ থেকে বাদ দিয়ে একটি নতুন কমিটি করেছেন। এই কমিটি নিয়ে জেলা, উপজেলায় একটি ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তার স্বেচ্ছাচারিতায় তালিকায় নেই সাবেক সম্পাদক রিপন

পদত্যাগীকে আহ্বায়ক করে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের পেছনে ফেলে কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সর্বত্রই।

গত ৬ জুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহাকে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মহিউদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৫৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর এ আহ্বায়ক কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পর থেকেই মুন্সীগঞ্জ জেলাজুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তালিকায় নেই মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর রিপন মল্লিকের নাম।

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে বিএনপির জনপ্রিয় মুখ আলী আজগর রিপন মল্লিক ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম টঙ্গীবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০১ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে তিনি বর্তমানে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

লোকমুখে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির রাজনীতিতে রিপন মল্লিকের বিকল্প কোনো নেতা না থাকলেও জেলা কমিটির তালিকায় নাম না থাকায় বেশ বেকায়দায় রয়েছেন এ নেতা। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি স্বচ্ছতার তালিকায় থাকলেও বর্তমান সময়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। আর এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

আলী আজগর রিপন মল্লিক বলেন, আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলায় নবগঠিত একটি কমিটি হয়েছে। এই কমিটিতে আসলে এক ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই এমন হয়েছে। আমি জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছি। ১৯৮৮ সালে আমি সর্বপ্রথম টঙ্গীবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই সম্মেলনের মাধ্যমে। ২০০১ সালে আমি টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হই এবং ২০০৯ সালে প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে আমি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন একটি নির্বাচন কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তির সাথে একটু সাংঘর্ষিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছিল। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন এবং বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা যতটুকু জানি, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরেই বসে তিনি তার এই পদত্যাগপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু এখন অজ্ঞাত কোনো কারণে তাকেই আবার জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার প্রতি বিদ্বেমূলক আচরণ করে আমাকে জেলা কমিটির পদ থেকে বাদ দিয়ে একটি নতুন কমিটি করেছেন। এই কমিটি নিয়ে জেলা, উপজেলায় একটি ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ