ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

প্রথম সূর্যের দক্ষিণ মেরুর ভিডিও ধারণ করল মহাকাশযান

  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: প্রথমবারের মতো সূর্যের দক্ষিণ মেরুর ভিডিও ও ছবি ধারণ করে তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সোলার অর্বিটার মহাকাশযান।
এসব নতুন ছবি ও ভিডিও প্রচণ্ড ঝড় ও শান্ত সময়ের মধ্যেও সূর্য কীভাবে চক্রাকারে ঘুরে বেড়ায় তা বুঝতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
সূর্যের এমন আচরণ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তীব্র সৌর কার্যকলাপ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের যোগাযোগে সমস্যা তৈরি ও পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে পারে। সোলার অর্বিটার মহাকাশযানের নতুন বিভিন্ন ছবিতে দেখা গিয়েছে, সূর্যের আশপাশে ঝকঝকে উজ্জ্বল একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে। যার কিছু অংশের তাপমাত্রা দশ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে কিছু গ্যাসের অন্ধকার মেঘ, যেগুলো তুলনামূলক ঠাণ্ডা হলেও এর তাপমাত্রা এক লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা বা ইএসএর-এর বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ক্যারোল ম্যান্ডেল বলেছেন, এসব ছবি সূর্যের খুব কাছ থেকে তোলা ও সবচেয়ে বিস্তারিত ছবি, যা এর আগে কখনও তোলা হয়নি। এসব ছবি বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে, কীভাবে আমাদের প্রাণের উৎস সূর্য আসলে কাজ করে। পুরো মানবজাতির জন্য প্রথমবারের মতো সূর্যের মেরুর দৃশ্য প্রকাশ করছি আমরা। সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র। আমাদের জীবনের উৎসও এটি। তবে আধুনিক মহাকাশ ও ভূ-পৃষ্ঠের শক্তি ব্যবস্থার জন্য বিপদের কারণও হতে পারে সূর্য। ফলে সূর্য কীভাবে কাজ করে তা বোঝা ও এর আচরণ আগে থেকেই অনুমান করতে শেখা আমাদের জন্য খুব জরুরি।
পৃথিবী থেকে সূর্য এতটাই উজ্জ্বল যে এটি এক বৈশিষ্ট্যহীন গোলাকার ছক বা চাকতির মতো দেখায়। তবে সংর্যের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ও বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করে এর প্রকৃত রূপ দেখেছেন বিজ্ঞানীরা, যেটি এক গতিশীল তরল গোলক, যার পৃষ্ঠে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ঘুরছে এবং এর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের অগ্নিশিখা ও বক্ররেখা তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের এসব চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলোই নির্ধারণ করে কখন সূর্য তীব্রভাবে ঝড় তোলে ও তা পৃথিবীর দিকে কণা ছুঁড়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা জানেন, সূর্যের একটি শান্ত সময় থাকে যখন এর চৌম্বকীয় বিভিন্ন ক্ষেত্র সুশৃঙ্খল অবস্থায় থাকে। এ সময় সূর্যের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুও স্থির থাকে। এ সময়ে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না সূর্য। তবে প্রায় প্রতি ১১ বছর অন্তর সূর্যের এসব চৌম্বকীয় ক্ষেত্র জটিল ও অস্থির হয়ে ওঠে এবং এর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর অবস্থান পরিবর্তিত হয়।
এ অস্থির সময়ে সূর্য নিজের জটিলতা কমানোর চেষ্টা করে, তখন এর তীব্র ঝড় আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যার কিছু অংশ পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। এসব সৌরঝড় পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা যোগাযোগ স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ গ্রিডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে আকাশে সুন্দর অরোরা তৈরিতেও সাহায্য করে এসব সৌরঝড়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ বা ইউসিএল-এর অধ্যাপক লুসি গ্রিন বলেছেন, এর আগে কম্পিউটার মডেল দিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন ছিল সূর্যের এমন কার্যকলাপ। কারণ, সূর্যের দুই মেরুর দিকে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের স্থানান্তর সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না। তবে সেটি এখন বদলেছে। এখন আমাদের কাছে এই ধাঁধার হারানো অংশ এসে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীদের কাছে বড় এক অজানা প্রশ্ন ছিল সূর্যের মেরু চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন। সোলার অর্বিটারের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো মাপতে পারব সূর্যের সেইসব গুরুত্বপূর্ণ তরল প্রবাহ, যা সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশ ধরে তা মেরু অঞ্চলে নিয়ে যায়। বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য হচ্ছে, সূর্যের কম্পিউটার মডেল তৈরি করা। যাতে এই তথাকথিত মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া যায়। কারণ, সঠিক পূর্বাভাস স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী, বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি ও অরোরা দেখতে আগ্রহীদের তীব্র সৌরঝড়ের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
মহাকাশযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে সূর্যের বায়ু নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ওয়েন। তিনি বলেছেন, “সূর্যবিজ্ঞান গবেষণার সর্বশ্রেষ্ঠ লক্ষ্য এটি। সোলার অর্বিটার আমাদের মহাকাশ আবহাওয়ার মূল বৈজ্ঞানিক নানা বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে। তবে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এমন বিস্ফোরণের পূর্বাভাস দিতে সূর্যের সেইসব সংকেত সম্পর্কে এখনও কিছুটা কাজ করতে হবে আমাদের। সূর্যের বিভিন্ন স্তরে থাকা নানা রসায়নিক উপাদান ও তাদের গতি সম্পর্কিত নতুন ছবি তুলেছে সোলার অর্বিটার মহাকাশযানটি। এসব ছবি নিয়েছে মহাকাশযানটির ‘স্পাইস’ নামের একটি যন্ত্র, যা সূর্যের নির্দিষ্ট রশ্মির তীব্রতা পরিমাপ করতে পারে। এ রশ্মি সূর্যের নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকা রসায়নিক বিভিন্ন উপাদান যেমন– হাইড্রোজেন, কার্বন, অক্সিজেন, নিওন ও ম্যাগনেশিয়াম থেকে নির্গত হয়। প্রথমবারের মতো বর্ণালী রেখার সাহায্যে সৌর পদার্থের বিভিন্ন গুচ্ছ কত দ্রুত গতিতে চলছে তা পরিমাপ করতে পেরেছে ‘স্পাইস’-এর গবেষণা দলটি। এসব তথ্য থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, কীভাবে সূর্য থেকে বিভিন্ন কণা সৌর বায়ুর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রথম সূর্যের দক্ষিণ মেরুর ভিডিও ধারণ করল মহাকাশযান

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: প্রথমবারের মতো সূর্যের দক্ষিণ মেরুর ভিডিও ও ছবি ধারণ করে তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সোলার অর্বিটার মহাকাশযান।
এসব নতুন ছবি ও ভিডিও প্রচণ্ড ঝড় ও শান্ত সময়ের মধ্যেও সূর্য কীভাবে চক্রাকারে ঘুরে বেড়ায় তা বুঝতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
সূর্যের এমন আচরণ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তীব্র সৌর কার্যকলাপ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের যোগাযোগে সমস্যা তৈরি ও পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে পারে। সোলার অর্বিটার মহাকাশযানের নতুন বিভিন্ন ছবিতে দেখা গিয়েছে, সূর্যের আশপাশে ঝকঝকে উজ্জ্বল একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে। যার কিছু অংশের তাপমাত্রা দশ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে কিছু গ্যাসের অন্ধকার মেঘ, যেগুলো তুলনামূলক ঠাণ্ডা হলেও এর তাপমাত্রা এক লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা বা ইএসএর-এর বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ক্যারোল ম্যান্ডেল বলেছেন, এসব ছবি সূর্যের খুব কাছ থেকে তোলা ও সবচেয়ে বিস্তারিত ছবি, যা এর আগে কখনও তোলা হয়নি। এসব ছবি বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে, কীভাবে আমাদের প্রাণের উৎস সূর্য আসলে কাজ করে। পুরো মানবজাতির জন্য প্রথমবারের মতো সূর্যের মেরুর দৃশ্য প্রকাশ করছি আমরা। সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র। আমাদের জীবনের উৎসও এটি। তবে আধুনিক মহাকাশ ও ভূ-পৃষ্ঠের শক্তি ব্যবস্থার জন্য বিপদের কারণও হতে পারে সূর্য। ফলে সূর্য কীভাবে কাজ করে তা বোঝা ও এর আচরণ আগে থেকেই অনুমান করতে শেখা আমাদের জন্য খুব জরুরি।
পৃথিবী থেকে সূর্য এতটাই উজ্জ্বল যে এটি এক বৈশিষ্ট্যহীন গোলাকার ছক বা চাকতির মতো দেখায়। তবে সংর্যের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ও বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করে এর প্রকৃত রূপ দেখেছেন বিজ্ঞানীরা, যেটি এক গতিশীল তরল গোলক, যার পৃষ্ঠে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ঘুরছে এবং এর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের অগ্নিশিখা ও বক্ররেখা তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের এসব চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলোই নির্ধারণ করে কখন সূর্য তীব্রভাবে ঝড় তোলে ও তা পৃথিবীর দিকে কণা ছুঁড়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা জানেন, সূর্যের একটি শান্ত সময় থাকে যখন এর চৌম্বকীয় বিভিন্ন ক্ষেত্র সুশৃঙ্খল অবস্থায় থাকে। এ সময় সূর্যের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুও স্থির থাকে। এ সময়ে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না সূর্য। তবে প্রায় প্রতি ১১ বছর অন্তর সূর্যের এসব চৌম্বকীয় ক্ষেত্র জটিল ও অস্থির হয়ে ওঠে এবং এর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর অবস্থান পরিবর্তিত হয়।
এ অস্থির সময়ে সূর্য নিজের জটিলতা কমানোর চেষ্টা করে, তখন এর তীব্র ঝড় আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যার কিছু অংশ পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। এসব সৌরঝড় পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা যোগাযোগ স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ গ্রিডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে আকাশে সুন্দর অরোরা তৈরিতেও সাহায্য করে এসব সৌরঝড়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ বা ইউসিএল-এর অধ্যাপক লুসি গ্রিন বলেছেন, এর আগে কম্পিউটার মডেল দিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন ছিল সূর্যের এমন কার্যকলাপ। কারণ, সূর্যের দুই মেরুর দিকে চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের স্থানান্তর সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না। তবে সেটি এখন বদলেছে। এখন আমাদের কাছে এই ধাঁধার হারানো অংশ এসে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীদের কাছে বড় এক অজানা প্রশ্ন ছিল সূর্যের মেরু চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন। সোলার অর্বিটারের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো মাপতে পারব সূর্যের সেইসব গুরুত্বপূর্ণ তরল প্রবাহ, যা সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশ ধরে তা মেরু অঞ্চলে নিয়ে যায়। বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য হচ্ছে, সূর্যের কম্পিউটার মডেল তৈরি করা। যাতে এই তথাকথিত মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া যায়। কারণ, সঠিক পূর্বাভাস স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী, বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি ও অরোরা দেখতে আগ্রহীদের তীব্র সৌরঝড়ের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
মহাকাশযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে সূর্যের বায়ু নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ওয়েন। তিনি বলেছেন, “সূর্যবিজ্ঞান গবেষণার সর্বশ্রেষ্ঠ লক্ষ্য এটি। সোলার অর্বিটার আমাদের মহাকাশ আবহাওয়ার মূল বৈজ্ঞানিক নানা বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে। তবে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এমন বিস্ফোরণের পূর্বাভাস দিতে সূর্যের সেইসব সংকেত সম্পর্কে এখনও কিছুটা কাজ করতে হবে আমাদের। সূর্যের বিভিন্ন স্তরে থাকা নানা রসায়নিক উপাদান ও তাদের গতি সম্পর্কিত নতুন ছবি তুলেছে সোলার অর্বিটার মহাকাশযানটি। এসব ছবি নিয়েছে মহাকাশযানটির ‘স্পাইস’ নামের একটি যন্ত্র, যা সূর্যের নির্দিষ্ট রশ্মির তীব্রতা পরিমাপ করতে পারে। এ রশ্মি সূর্যের নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকা রসায়নিক বিভিন্ন উপাদান যেমন– হাইড্রোজেন, কার্বন, অক্সিজেন, নিওন ও ম্যাগনেশিয়াম থেকে নির্গত হয়। প্রথমবারের মতো বর্ণালী রেখার সাহায্যে সৌর পদার্থের বিভিন্ন গুচ্ছ কত দ্রুত গতিতে চলছে তা পরিমাপ করতে পেরেছে ‘স্পাইস’-এর গবেষণা দলটি। এসব তথ্য থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, কীভাবে সূর্য থেকে বিভিন্ন কণা সৌর বায়ুর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।