নিজস্ব প্রতিবেদক: চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের কর্মীরা।
শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের দাবি, কোভিড মহামারীর সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিলেও এখন তারা অবহেলার শিকার। নতুন করে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, এ সময় তাদের কাজে লাগানোর দাবিও জানানো হয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি সেন্টারের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুর রহমান ও নিপসমের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবু সুফিয়ান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কোভিড মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের নিয়োগ দেয়। এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় তাদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। গত ৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের মৌখিক আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছিল- যার যার কর্মস্থলে কাজ অব্যাহত রাখতে। আমাদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। সেই মৌখিক আশ্বাসে মে মাস পর্যন্ত কাজ করি। তবে ২৫ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও গবেষণা শাখা থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের কাজ থেকে বিরত থাকলে বলা হয়। যা আমাদের সাথে চরম অন্যায় এবং অবিচার করা হয়েছে। নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় এই প্রকল্পের কর্মীদের দিয়ে কোভিড মোকাবিলা করতে হবে।
আমাদের হাতে গড়া ওই আরটিপিসিআর ল্যাব, কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ কাদের দিয়ে চালানো হবে? আমাদের পদে নতুন করে লোক নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমরা কোনোভাবে তা সফল হতে দিতে পারি না। ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় ১৬ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেসিয়া/ক্রিটিক্যাল কেয়ার), ৮০ জন মেডিকেল অফিসার (আইসিইউ), ৩০ জন ল্যাব কনসালট্যান্ট, ১৫০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স, ১২৬ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ১৯০ জন ডেটা অপারেটর, ৫১ জন ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, ১০৪ জন ওয়ার্ড বয়, ১০৩ জন আয়া এবং ১৫১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। তাদের ২৫৯ জন ঢাকায়, ১৫৩ জন বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে এবং ৫৯২ জন জেলা শহরে কোভিড ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।