ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে নগরবাসী

  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঈদ উদযাপনে বাড়ি ছুটছে মানুষ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে বুধবার (৪ জুন) শেষ কর্মদিবস। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে লম্বা ছুটি। ৭ জুন দেশবাসী উদযাপন করবে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।
বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে ভোর থেকেই স্টেশনজুড়ে যাত্রীদের সরব উপস্থিতি ঈদযাত্রার সেই চিরচেনা দৃশ্যকে ফিরিয়ে আনে। কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে আলাদা গেট। সেখানে রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা টিকিট যাচাই করে যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে স্টেশনে। স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কেউ ট্রেনের অপেক্ষায়, কেউবা আগেভাগেই নির্ধারিত সিটে বসে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে বেশিরভাগই মানুষ ছাড়ছে ঢাকা। নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী-সব শ্রেণি-পেশার মানুষ গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৮টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে পাঁচটি কমিউটার ট্রেন ও ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন। কমিউটার ট্রেনগুলো হলো-বলাকা কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, মহুয়া, কর্ণফুলী ও তিতাস কমিউটার। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো-ধুমকেতু এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, নীলসাগর, সোনারবাংলা, এগারো সিন্ধুর প্রভাতি, তিস্তা, মহানগর প্রভাতি, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস।
যাত্রীরা বলছেন, ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। অনেকেই দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন। অনেককেই স্ত্রী, সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। স্টেশনে আসতে রাস্তা অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটা ফাঁকা মনে হয়েছে। আরেক গ্রামমুখো যাত্রী মনির হোসেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছি। অন্য সময়ের চেয়ে এবারের ঈদ আনন্দটা বেশি হবে, কারণ এবার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়েই বাড়ি যাচ্ছি। টিকিট অনলাইনে বিক্রির কারণে স্টেশনের কাউন্টারগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিও কমেছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে নগরবাসী

আপডেট সময় : ০৭:৪২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে বুধবার (৪ জুন) শেষ কর্মদিবস। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে লম্বা ছুটি। ৭ জুন দেশবাসী উদযাপন করবে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।
বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে ভোর থেকেই স্টেশনজুড়ে যাত্রীদের সরব উপস্থিতি ঈদযাত্রার সেই চিরচেনা দৃশ্যকে ফিরিয়ে আনে। কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে আলাদা গেট। সেখানে রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা টিকিট যাচাই করে যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে স্টেশনে। স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কেউ ট্রেনের অপেক্ষায়, কেউবা আগেভাগেই নির্ধারিত সিটে বসে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে বেশিরভাগই মানুষ ছাড়ছে ঢাকা। নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী-সব শ্রেণি-পেশার মানুষ গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৮টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে পাঁচটি কমিউটার ট্রেন ও ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন। কমিউটার ট্রেনগুলো হলো-বলাকা কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, মহুয়া, কর্ণফুলী ও তিতাস কমিউটার। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো-ধুমকেতু এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, নীলসাগর, সোনারবাংলা, এগারো সিন্ধুর প্রভাতি, তিস্তা, মহানগর প্রভাতি, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস।
যাত্রীরা বলছেন, ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। অনেকেই দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন। অনেককেই স্ত্রী, সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। স্টেশনে আসতে রাস্তা অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটা ফাঁকা মনে হয়েছে। আরেক গ্রামমুখো যাত্রী মনির হোসেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছি। অন্য সময়ের চেয়ে এবারের ঈদ আনন্দটা বেশি হবে, কারণ এবার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়েই বাড়ি যাচ্ছি। টিকিট অনলাইনে বিক্রির কারণে স্টেশনের কাউন্টারগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিও কমেছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।