নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৪ জুন) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। মিশুক ছাড়াও নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম, এএমডি ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার মো. আবু রায়হান, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার আফজাল আহমেদ, হেড অব ফাইন্যান্স মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী ও হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, হিসাবপত্রের মিথ্যা বর্ণনা ও মিথ্যা রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ২০২১ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রাস্টকাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে কাগজি মুদ্রা (ফিজিক্যাল মানি) স্থিতির চেয়ে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৭৫৮ টাকার বেশি ই-মানি ইস্যুপূর্বক উক্ত টাকা অননুমোদিত ৪১টি ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে রিফান্ডপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ক ১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামি মো. আবু রায়হান, মো. রাকিবুল ইসলাম, আফজাল আহমেদ, শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম মর্তুজা চৌধুরী নগদ লিমিটেডের প্রোডাকশন/লাইভ সিস্টেমে অননুমোদিত ৪১টি ডিস্ট্রিবিউটর এন্ট্রি/যুক্ত করেন। প্রোডাকশন/লাইভ ডাটাবেজ থেকে বিআই পোর্টাল ও বিপিও পোর্টালের ডাটাবেজে ডাটা এনে পোর্টাল দুটির মাধ্যমে বিভিন্ন কাস্টমাইজড রিপোর্ট প্রস্তুত ও প্রদান করে এই অনিয়ম সংঘটিত করেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ২১ আগস্ট নগদের আগের পর্ষদ ভেঙে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক করা হয়।