প্রত্যাশা ডেস্ক: মাত্র ২৮ বছরের ডেয়ারডেভিল রায়ান লুনি যে সাহস দেখিয়েছেন তা অনেকের কাছেই স্বপ্ন। স্বপ্ন না বলে দুঃস্বপ্ন বলা হয়তো বেশি মানানসই হতে পারে। কারণ আগুন নিয়ে খেলা কোনো সাধারণ স্বপ্ন হতে পারে না। কিন্তু রায়ান তা করেছেন। এমনকি ৭টি রেকর্ডও করে ফেলেছেন এই আগুন নিয়ে খেলে।
যুক্তরাজ্যের ডেয়ারডেভিল রায়ান লুনি সম্প্রতি পুরো শরীরে আগুন ধরিয়ে সবচেয়ে বেশি সময় অটল ছিলেন। সবচেয়ে বেশি দাঁড়িয়ে থাকা পিছনের দিকে সামারসল্টের রেকর্ড গড়েন। একজন স্টান্ট কোঅর্ডিনেটরকে হাতে রেখে, রায়ান ধূসর রঙের সোয়েটশার্ট এবং প্যান্ট এবং একটি অগ্নি-প্রতিরোধী প্রতিরক্ষামূলক হুড পরে অবস্থানে চলে যান। তবে যে কেউ চাইলেই এই কাজটি করতে পারবেন না। কারণ এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণ, প্রস্তুতি, সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষক ও রেসকিউ দলের সহায়তা। এই স্ট্যান্টটি করার আগে রায়ান বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা স্যুট পরা ছিলেন। যা তাকে আগুন থেকে রক্ষা করেছে।
রায়ানের সোয়েটস্যুটের কিছু অংশ পুড়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল। সাহায্যকারীরা দৌড়ে এসে তার পিঠে আগুন নেভানোর জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্প্রে করে এবং তোয়ালে ব্যবহার করে আগুন নেভাতে লাগলেন, তখন রায়ান মাটিতে পড়ে যান। সৌভাগ্যক্রমে তার কোনো বড় আঘাত লাগেনি। চ্যালেঞ্জটি গ্রহণের পর, রায়ান, যার এরই মধ্যে একাধিক রেকর্ড রয়েছে, তিনি বলেন যে তার মনে হচ্ছে সম্ভাবনার একটি সম্পূর্ণ নতুন জগৎ তার সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। তার অন্যান্য রেকর্ডের মধ্যে আছে- > এক মিনিটে বেশিরভাগ অগ্নি-নিঃশ্বাসের পূর্ণ কর্কস্ক্রু উল্টে যায় – ১১টি > এক মিনিটে সর্বাধিক অগ্নি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাইডফ্লিপ – ১২টি > সর্বনিম্ন স্ট্যান্ডিং ব্যাক সামারসল্ট – ২৬.৫ সেমি > এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি অগ্নি শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাকফ্লিপ – ১৭টি > দীর্ঘতম বিপরীত ভল্ট (পার্কোর) – ৪.০৬ মিটার (১৪ ফুট ৩.৮ ইঞ্চি)। সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
