ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

অপ্রস্তুত অবস্থায় করা প্রেমের ভবিষ্যৎ অন্ধকার

  • আপডেট সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রেম নাকি আচমকাই চলে আসে জীবনে। সবদিক ভেবেচিন্তে, নানা কিছু পরিকল্পনা করে প্রেম শুরু করা বেশ কঠিনই বটে। তবে একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় শুরু করা প্রেমের ভবিষ্যৎ বেশ অন্ধকার হতে পারে। প্রেমের সম্পর্ক তো আর এমনি এমনি গড়ে ওঠে না। দু’জন দু’জনকে ভালোবাসার, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি সম্পর্ক শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেকেই কথা রাখতে পারে না বা রাখতে চায় না। এ বিষয় নিয়েই এবারের লাইফস্টাইল পাতার প্রধান ফিচার

প্রেমের সম্পর্কে কেবল ভালো লাগার অনুভূতিই থাকে না। থাকে মান-অভিমান, দুঃখ-বেদনাও। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে। তা হলো দায়িত্ববোধ। সবটা মিলিয়েই জমে ওঠে সম্পর্কের রসায়ন। তাই প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর আগে অন্তত কিছু বিষয় নিজের কাছে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। তাা হলো-

ছাড় দেওয়ার মানসিকতা: একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে কিছু বিষয়ে ছাড় দিতেই হবে আপনাকে। বিষয়টি আগেই ভেবে দেখুন। ধরা যাক, আপনি চাইছেন মন উজাড় করে গল্প করতে, ঠিক ওই সময় আপনার সঙ্গীর মন পড়ে আছে পৃথিবীর অপর পাশের এক স্টেডিয়ামে। নানা সময়ে নানা কারণেই দুজনের ইচ্ছা দুই মেরুতে থাকতে পারে। কিন্তু ভালো সঙ্গী হতে হলে খানিকটা ছাড় দিতে হয় দু’জনকেই।

দায়িত্ব নেওয়ার শক্তি: কেবল ভালোবাসলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং ভালোবাসলে দায়িত্বের পরিধি আরও বাড়ে। সঙ্গীর মনের দিকে খেয়াল রাখাই কিন্তু এক বিশাল দায়িত্ব। দুজনের ক্যারিয়ার এবং জীবনের অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে আপনাকে। সেই শক্তি আপনার আছে কি না, ভেবে দেখুন।

প্রেম ফ্যান্টাসি নয়: গল্প-উপন্যাস কিংবা নাটক-সিনেমায় অনেক সময় প্রেমকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রেম সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার আকর্ষণীয় ছবি বা কনটেন্ট দেখা যায়। বাস্তবে প্রেম সব সময় এতা নাটকীয় হয় না। তাই প্রেম নিয়ে অবাস্তব প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়। ধরা যাক, সৌন্দর্যের আকর্ষণে আপনি কারও প্রেমে পড়েছেন। তাতে ক্ষতি নেই। তবে মনে রাখবেন, পরিপাটি রূপের বাইরেও প্রতিটি মানুষের একটা সাদামাটা রূপ থাকে। বয়সের সঙ্গে কিছু পরিবর্তনও আসে সবার। আবার অসম প্রেমে জড়ানোর আগেও আপনাকে অবশ্যই বাস্তববাদী হয়ে ভাবতে হবে।

সঙ্গীর শতভাগই নিজের নয়: আপনি সঙ্গীকে যতই ভালোবাসুন না কেন, তিনি একজন আলাদা মানুষ। একটি ভিন্ন সত্তা। তার ‘মি টাইম’ বা নিজের মতো করে সময় কাটানোর অধিকার আপনি কেড়ে নিতে পারেন না। তার বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবার নিয়েও আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন না।

বিশ্বাসের বিকল্প নেই: বিশ্বাসই একটি সম্পর্কের ভিত। এ ভিত এক দিনে গড়ে ওঠে না। যেকোনো সংবেদনশীল বিষয় আপনার পছন্দের মানুষটির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, বিশ্বাসের সেই স্তরে আপনারা পৌঁছেছেন কি না। অন্ধ বিশ্বাসের কারণে বিপদেও পড়েন বহু মানুষ। বিপদের কথাও মাথায় রাখুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অপ্রস্তুত অবস্থায় করা প্রেমের ভবিষ্যৎ অন্ধকার

আপডেট সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

প্রেম নাকি আচমকাই চলে আসে জীবনে। সবদিক ভেবেচিন্তে, নানা কিছু পরিকল্পনা করে প্রেম শুরু করা বেশ কঠিনই বটে। তবে একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় শুরু করা প্রেমের ভবিষ্যৎ বেশ অন্ধকার হতে পারে। প্রেমের সম্পর্ক তো আর এমনি এমনি গড়ে ওঠে না। দু’জন দু’জনকে ভালোবাসার, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি সম্পর্ক শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেকেই কথা রাখতে পারে না বা রাখতে চায় না। এ বিষয় নিয়েই এবারের লাইফস্টাইল পাতার প্রধান ফিচার

প্রেমের সম্পর্কে কেবল ভালো লাগার অনুভূতিই থাকে না। থাকে মান-অভিমান, দুঃখ-বেদনাও। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে। তা হলো দায়িত্ববোধ। সবটা মিলিয়েই জমে ওঠে সম্পর্কের রসায়ন। তাই প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর আগে অন্তত কিছু বিষয় নিজের কাছে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। তাা হলো-

ছাড় দেওয়ার মানসিকতা: একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে কিছু বিষয়ে ছাড় দিতেই হবে আপনাকে। বিষয়টি আগেই ভেবে দেখুন। ধরা যাক, আপনি চাইছেন মন উজাড় করে গল্প করতে, ঠিক ওই সময় আপনার সঙ্গীর মন পড়ে আছে পৃথিবীর অপর পাশের এক স্টেডিয়ামে। নানা সময়ে নানা কারণেই দুজনের ইচ্ছা দুই মেরুতে থাকতে পারে। কিন্তু ভালো সঙ্গী হতে হলে খানিকটা ছাড় দিতে হয় দু’জনকেই।

দায়িত্ব নেওয়ার শক্তি: কেবল ভালোবাসলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং ভালোবাসলে দায়িত্বের পরিধি আরও বাড়ে। সঙ্গীর মনের দিকে খেয়াল রাখাই কিন্তু এক বিশাল দায়িত্ব। দুজনের ক্যারিয়ার এবং জীবনের অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে আপনাকে। সেই শক্তি আপনার আছে কি না, ভেবে দেখুন।

প্রেম ফ্যান্টাসি নয়: গল্প-উপন্যাস কিংবা নাটক-সিনেমায় অনেক সময় প্রেমকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রেম সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার আকর্ষণীয় ছবি বা কনটেন্ট দেখা যায়। বাস্তবে প্রেম সব সময় এতা নাটকীয় হয় না। তাই প্রেম নিয়ে অবাস্তব প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়। ধরা যাক, সৌন্দর্যের আকর্ষণে আপনি কারও প্রেমে পড়েছেন। তাতে ক্ষতি নেই। তবে মনে রাখবেন, পরিপাটি রূপের বাইরেও প্রতিটি মানুষের একটা সাদামাটা রূপ থাকে। বয়সের সঙ্গে কিছু পরিবর্তনও আসে সবার। আবার অসম প্রেমে জড়ানোর আগেও আপনাকে অবশ্যই বাস্তববাদী হয়ে ভাবতে হবে।

সঙ্গীর শতভাগই নিজের নয়: আপনি সঙ্গীকে যতই ভালোবাসুন না কেন, তিনি একজন আলাদা মানুষ। একটি ভিন্ন সত্তা। তার ‘মি টাইম’ বা নিজের মতো করে সময় কাটানোর অধিকার আপনি কেড়ে নিতে পারেন না। তার বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবার নিয়েও আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন না।

বিশ্বাসের বিকল্প নেই: বিশ্বাসই একটি সম্পর্কের ভিত। এ ভিত এক দিনে গড়ে ওঠে না। যেকোনো সংবেদনশীল বিষয় আপনার পছন্দের মানুষটির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, বিশ্বাসের সেই স্তরে আপনারা পৌঁছেছেন কি না। অন্ধ বিশ্বাসের কারণে বিপদেও পড়েন বহু মানুষ। বিপদের কথাও মাথায় রাখুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ