কুরবানিটা বোঝো
ঈদ এনেছে খুশির জোয়ার
সাম্য-সুখের গানে,
খুললো সবার হাসির দুয়ার
আনন্দ আহ্বানে।
জাতির পিতা ইব্রাহিমের
ত্যাগের ইতিহাসে,
মর্মব্যথা ইসমাইলের
ঈদ হয়ে আজ ভাসে।
ঈদ কি শুধু পশু জবাই?
বার্তা প্রভূর খোঁজো,
বিবেক পশু নাশে সবাই
কুরবানিটা বোঝো।
মুহাম্মদের আনীত দ্বীন’
কোরান-হাদিস খামে
খতম বিবেকপশু-বদ্বীন
‘কুরবানির ঈদ’ নামে।
ঈদুল আজহা!
ঈদ মুবারাক! ঈদুল আজহা! ঈদ মুবারাক! ঈদ-
‘আল্লাহু আকবার’ মু’মিনের সোচ্চারি তাওহীদ।
ঈদগাহে যাই হেঁটে মুসলিম, ভিন্নপথে ফিরি
ঈদ-নামাজে, খুতবায় ঝরে শান্তি ঝিরিঝিরি
একে অন্যের দুঃখ-সুখে যাই হয়ে সুহৃদ
ঈদ মুবারাক! ঈদুল আজহা! ঈদ মুবারাক! ঈদ-
একজনে বা ভাগাভাগি হয় পশু কুরবানি
ত্যাগ তিতিক্ষা ঈদের উৎসব আল্লাহ’র মেহেরবানি
ছোট-বড় আমরা সবাই রচি সাম্যের গীত
ঈদ মুবারাক! ঈদুল আজহা! ঈদ মুবারাক! ঈদ-
কুরবানির ঈদ
বুকের সাথে বুকটা মেলাও
যাও ভুলে সব জিদ
জিদটা প্রথম কুরবানি দাও
কুরবানিরই ঈদ।
সালাম পেলে জবাব দিও
হাসিমুখে আর
বুকের ব্যথা বুঝে নিও
হয় কেনো বিস্তার।
অভাব-অনাহারের ক্ষত
দাও ঘুচিয়ে আর
ঘোর বিপদে ছায়ার মতো
সঙ্গী অহঙ্কার।
কে দেয় বাধা শুভ কাজে
অবাধ্য কোন লোক
থাকে যদি স্বরূপ মাঝে
কুরবানি আজ হোক।
পশুর গলায় অস্ত্র চলে
ফিনকি রক্তস্রোত
বুকের পশু আস্তাবলে-
দেখাও এ হিম্মত।
একাকী আর হোক না ভাগে
ঈদের খুশি নিতে
সত্যি যেন বিবেক জাগে
পশুর বিপরীতে।
দূর হোক অসাম্য আজ
রুখে ওঠা জিদে
সাম্যতা হোক ধর্মের তাজ
কুরবানির এই ঈদে।
ইসমাইলের বলিষ্ঠ বল
পিতা ইব্রাহিম
মুহাম্মদের দ্বীনে অটল
এই জাতি মুসলিম।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ