ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

এআইনির্ভর কাজের জন্য আইফোনের চেয়ে গ্যালাক্সি ভালো

  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপল ও স্যামসাং স্মার্টফোনের মধ্যে কোন ফোনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ফিচার সেরা তা নিয়ে সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।

দুটি ফোনের মধ্যে এ তুলনামূলক ভিডিওটি করেন ‘কাস্টম অ্যাডভেঞ্চারিস্ট’ নামের এক ইউটিউবার, যার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। তিনি ১৫ মে এক মিনিটের কাছাকাছি দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেখানে উঠে এসেছে অ্যাপল ও স্যামসাং-এই দুই প্রযুক্তি কোম্পানির এআই ফিচারের মধ্যে তুলনার বিষয়টি।

ভিডিওতে অ্যাপলের সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের আইফোন ধরে থাকা খুবই পরিচিত একটি ছবি ব্যবহার করেছেন তিনি। এতে দুটি কোম্পানির এআই কীভাবে জবসের ছবিটিতে থাকা বিষয় বদলে দিতে বললে কোন ফেন কী করেছে তা দেখা যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এমএসএন।

প্রথমে অ্যাপলের এআই ব্যবহার করে স্টিভ জবসের হাতটি বেছে নেন ওই ইউটিউবার। শুরুতে কিছুই হয়নি। তবে একই কাজ আবার করার পর এআই ধীরে ধীরে জবসের হাত মুছে ফেলতে শুরু করে। এক সেকেন্ডের মধ্যে ছবিটি বদলে গেলেও, এর ফলাফলে ছবিটি দ্রুত বিকৃত হয়ে যায়, যেখানে জবসের হাত তো হারিয়ে যায়ই তার মুখের এক অংশও কালো হয়ে যায় এবং তার চোয়াল ও গাল এতটাই ঝাপসা হয়ে যায় যে জবসকে চেনাই মুশকিল হয়ে ওঠে।
এরপর স্যামসাংয়ের এআই ফিচার নিয়ে পরীক্ষা করেন ওই ইউটিউবার। অ্যাপলের মতো জবসের ছবিটির একই জায়গা নির্বাচন করেন তিনি। এরপর জবসের হাতের আশপাশে একটি সাদা রেখা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এরপর তিনি ‘জেনারেট’ বাটনে চাপ দেন ও প্রায় সাত সেকেন্ডে এআই নতুন একটি ছবি তৈরি করে দিয়েছে জবসের, যেখানে এআই তার মুখ এমনভাবে ঠিক করেছে যে, আগের অস্পষ্ট বিভিন্ন অংশও পরিষ্কারভাবে মুছে গিয়েছে। আর এতে ছবিটির সবকিছুই অনেক স্বাভাবিক ও মসৃণ দেখিয়েছে।

এ ভিডিওটি পোস্ট করার সময় ইউটিউবার লিখেছেন, এআই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্যামসাং ও অ্যাপল উভয় কোম্পানিই নিজেদেরকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে তুলে ধরছে। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, আসলে কোন কোম্পানি সত্যিকারের নতুন কিছু আনছে?
ইউটিউবার বলেছেন, দুই কোম্পানির এআই ফিচার নিয়ে নিজে পরীক্ষা করেছেন তিনি। পরীক্ষা শেষে তিনি ভাবছেন, স্টিভ জবস যদি এই ফলাফল দেখতেন তাহলে তিনি কী বলতেন। ভিডিওটি ২৫ মে পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে এবং ৪ লাখ ১০ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পেয়েছে। এতে দর্শকদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, স্যামসাং স্পষ্টভাবেই অ্যাপলের চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, অ্যাপলের বুদ্ধিমত্তা বোধহয় জবসের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে। ইংরেজিভাষী বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন কমিউনিটি রেডিট-এ একই ধরনের আরেকটি ভিডিও ২৪ মে প্রকাশ পায়। ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, একজন নারী নীল রঙের বেলুন ধরে আছেন এবং সেখানে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের একই এআই টুল ব্যবহার করে তুলনা করা হয়েছে। এ ভিডিওটিতেও অ্যাপলের এআই এক সেকেন্ডেই বেলুনটি মুছে ফেলছে। তবে এতে নারীর মুখ ভয়ঙ্করভাবে বিকৃত হয়ে যায়। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এআই এ প্রক্রিয়াটি শেষ করতে প্রায় দশ সেকেন্ড সময় নিলেও ছবির যে অংশটি বেলুনে ঢেকে ছিল সেই মুখের অংশটিও সুন্দরভাবে পুনরায় তৈরি করে দিয়েছে তাদের এআই ফিচার।
রেডিট-এ পোস্ট করা ওই ভিডিওটিতে প্রায় ২৭০টি মন্তব্য এসেছে, যেখানে অনেকেই অ্যাপলের এআই পারফরম্যান্স নিয়ে হাস্যকর মন্তব্য করেছেন। একজন মজা করে বলেছেন, অ্যাপলের এআই দিয়ে ছবি এডিট করলে তা যেন পিকাসোর হাতে আঁকা কোনো ছবির মতো দেখায়। আরেকজন রসিকতা করে বলেছেন, অ্যাপল নিশ্চয়ই বলবে তাদের এআই দ্রুত কাজ করে বলে তারাই সেরা। কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ করে বলেছেন, বিকৃত মুখটা বুঝি আসলে ঐ নারীরই আসল চেহারা!

দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখা হচ্ছে অ্যাপলকে। আইপড, আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচের মতো যুগান্তকারী ডিভাইস এনেছে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি। তবে সমালোচকরা বলছেন, এখন জেনারেটিভ এআইয়ের দৌড়ে অ্যাপল পিছিয়ে পড়েছে, যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওপেনএআই, গুগল, মেটা ও অ্যামাজনের মতো বিভিন্ন কোম্পানি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এআইনির্ভর কাজের জন্য আইফোনের চেয়ে গ্যালাক্সি ভালো

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপল ও স্যামসাং স্মার্টফোনের মধ্যে কোন ফোনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ফিচার সেরা তা নিয়ে সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।

দুটি ফোনের মধ্যে এ তুলনামূলক ভিডিওটি করেন ‘কাস্টম অ্যাডভেঞ্চারিস্ট’ নামের এক ইউটিউবার, যার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। তিনি ১৫ মে এক মিনিটের কাছাকাছি দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেখানে উঠে এসেছে অ্যাপল ও স্যামসাং-এই দুই প্রযুক্তি কোম্পানির এআই ফিচারের মধ্যে তুলনার বিষয়টি।

ভিডিওতে অ্যাপলের সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের আইফোন ধরে থাকা খুবই পরিচিত একটি ছবি ব্যবহার করেছেন তিনি। এতে দুটি কোম্পানির এআই কীভাবে জবসের ছবিটিতে থাকা বিষয় বদলে দিতে বললে কোন ফেন কী করেছে তা দেখা যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এমএসএন।

প্রথমে অ্যাপলের এআই ব্যবহার করে স্টিভ জবসের হাতটি বেছে নেন ওই ইউটিউবার। শুরুতে কিছুই হয়নি। তবে একই কাজ আবার করার পর এআই ধীরে ধীরে জবসের হাত মুছে ফেলতে শুরু করে। এক সেকেন্ডের মধ্যে ছবিটি বদলে গেলেও, এর ফলাফলে ছবিটি দ্রুত বিকৃত হয়ে যায়, যেখানে জবসের হাত তো হারিয়ে যায়ই তার মুখের এক অংশও কালো হয়ে যায় এবং তার চোয়াল ও গাল এতটাই ঝাপসা হয়ে যায় যে জবসকে চেনাই মুশকিল হয়ে ওঠে।
এরপর স্যামসাংয়ের এআই ফিচার নিয়ে পরীক্ষা করেন ওই ইউটিউবার। অ্যাপলের মতো জবসের ছবিটির একই জায়গা নির্বাচন করেন তিনি। এরপর জবসের হাতের আশপাশে একটি সাদা রেখা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এরপর তিনি ‘জেনারেট’ বাটনে চাপ দেন ও প্রায় সাত সেকেন্ডে এআই নতুন একটি ছবি তৈরি করে দিয়েছে জবসের, যেখানে এআই তার মুখ এমনভাবে ঠিক করেছে যে, আগের অস্পষ্ট বিভিন্ন অংশও পরিষ্কারভাবে মুছে গিয়েছে। আর এতে ছবিটির সবকিছুই অনেক স্বাভাবিক ও মসৃণ দেখিয়েছে।

এ ভিডিওটি পোস্ট করার সময় ইউটিউবার লিখেছেন, এআই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্যামসাং ও অ্যাপল উভয় কোম্পানিই নিজেদেরকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে তুলে ধরছে। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, আসলে কোন কোম্পানি সত্যিকারের নতুন কিছু আনছে?
ইউটিউবার বলেছেন, দুই কোম্পানির এআই ফিচার নিয়ে নিজে পরীক্ষা করেছেন তিনি। পরীক্ষা শেষে তিনি ভাবছেন, স্টিভ জবস যদি এই ফলাফল দেখতেন তাহলে তিনি কী বলতেন। ভিডিওটি ২৫ মে পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে এবং ৪ লাখ ১০ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পেয়েছে। এতে দর্শকদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, স্যামসাং স্পষ্টভাবেই অ্যাপলের চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, অ্যাপলের বুদ্ধিমত্তা বোধহয় জবসের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে। ইংরেজিভাষী বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন কমিউনিটি রেডিট-এ একই ধরনের আরেকটি ভিডিও ২৪ মে প্রকাশ পায়। ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, একজন নারী নীল রঙের বেলুন ধরে আছেন এবং সেখানে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের একই এআই টুল ব্যবহার করে তুলনা করা হয়েছে। এ ভিডিওটিতেও অ্যাপলের এআই এক সেকেন্ডেই বেলুনটি মুছে ফেলছে। তবে এতে নারীর মুখ ভয়ঙ্করভাবে বিকৃত হয়ে যায়। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এআই এ প্রক্রিয়াটি শেষ করতে প্রায় দশ সেকেন্ড সময় নিলেও ছবির যে অংশটি বেলুনে ঢেকে ছিল সেই মুখের অংশটিও সুন্দরভাবে পুনরায় তৈরি করে দিয়েছে তাদের এআই ফিচার।
রেডিট-এ পোস্ট করা ওই ভিডিওটিতে প্রায় ২৭০টি মন্তব্য এসেছে, যেখানে অনেকেই অ্যাপলের এআই পারফরম্যান্স নিয়ে হাস্যকর মন্তব্য করেছেন। একজন মজা করে বলেছেন, অ্যাপলের এআই দিয়ে ছবি এডিট করলে তা যেন পিকাসোর হাতে আঁকা কোনো ছবির মতো দেখায়। আরেকজন রসিকতা করে বলেছেন, অ্যাপল নিশ্চয়ই বলবে তাদের এআই দ্রুত কাজ করে বলে তারাই সেরা। কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ করে বলেছেন, বিকৃত মুখটা বুঝি আসলে ঐ নারীরই আসল চেহারা!

দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখা হচ্ছে অ্যাপলকে। আইপড, আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচের মতো যুগান্তকারী ডিভাইস এনেছে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি। তবে সমালোচকরা বলছেন, এখন জেনারেটিভ এআইয়ের দৌড়ে অ্যাপল পিছিয়ে পড়েছে, যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওপেনএআই, গুগল, মেটা ও অ্যামাজনের মতো বিভিন্ন কোম্পানি।