ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

সম্পর্ক তৈরিতে একটু হাস্যরসের শক্তি সীমাহীন

  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: হয়তো খেয়াল করে দেখবেন, কিছু জুটিকে দেখলেই মনে হয়- তারা আসলেই খুব সুখী। তারা একজন আরেকজনের ছোট ছোট বিষয় খেয়াল রাখেন। বিয়ের অনেক বছর পরও তারা একজন আরেকজনকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। অন্যের পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখেন। একজন আরেকজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। এ জন্য সবাইকে শক্তিশালী দাম্পত্য সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য জানা দরকার।

একজন আরেকজনের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করা। ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকা। ধরুন, একজন কোনো একটা সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু আপনি নিশ্চিত যে, আপনার সঙ্গী ঠিকই যথাযথভাবে সেটির সমাধান করে সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন।

দু’জনে মজা করা, একসঙ্গে হাসা। মনে রাখবেন, একটুখানি হাস্যরসের ইতিবাচক শক্তি অসীম। একসঙ্গে হাসা আপনাদের দুজনের বন্ধনকে গভীর আর শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে যেকোনো সম্পর্কের জন্য এটা সত্য।

একসঙ্গে কাউকে সাহায্য করা। ‘অ্যাক্ট অব কাইন্ডনেস’ও শক্তিশালী বন্ধনের অন্যতম ভিত্তি। দু’জনে ঘুরে বেড়ানো। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়া। রঙিন স্মৃতি জমানো।

দু’জনে মিলে কঠিন সময় সামাল দেওয়া। সেটি হতে পারে অর্থনৈতিক বিপর্যয় বা সন্তানের অসুস্থতা, পারিবারিক সংকট কিংবা যে কোনো সংকট পাড়ি দেওয়া। যে কোনো ঝগড়া, কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্যের পর দ্রুত সেরে ওঠা।

সঙ্গীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক আকর্ষণ অনুভব করা। প্রতিদিন শারীরিক স্পর্শে বাঁচা। হাত ধরে হাঁটা বা বাইরে থেকে এসে জড়িয়ে ধরা, রাতে ঘুমানোর সময় আলিঙ্গন করা… কোনো একটা কিছু ঘটনা ঘটার পর সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার না করা পর্যন্ত অনেকের ‘পেটের ভাত ঠিকমতো হজম হয় না’Ñ এটা শক্তিশালী বন্ধনেরই বৈশিষ্ট্য।

এমন কিছু গোপন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়া, যেসব কেবল আপনারা দুজনই জানেন। এবং কেবল নিজেদের ভেতরে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

প্রয়োজনীয় বা দরকারি বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি পুরোনো ছবি, স্মৃতি, মজার রিলস বা ভিডিও পাঠানো কিংবা ভালোবাসার কথা জানানো অথবা মনের গভীরের কোনো অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া। একজন আরেকজনকে ‘থ্যাংক ইউ’, ‘আই লাই ইউ’ বলা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ঘরের কাজ দু’জনে মিলে ভাগাভাগি করে করা। সঙ্গীর ছোট ছোট জয় বা সাফল্য দু’জনে মিলে উদ্যাপন করা।

দু’জনে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। অর্থাৎ একই সঙ্গে দিন শুরু করা ও শেষ করা। কেননা দিনের এ দুটি সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: স্মার্ট কাপলস।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সম্পর্ক তৈরিতে একটু হাস্যরসের শক্তি সীমাহীন

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: হয়তো খেয়াল করে দেখবেন, কিছু জুটিকে দেখলেই মনে হয়- তারা আসলেই খুব সুখী। তারা একজন আরেকজনের ছোট ছোট বিষয় খেয়াল রাখেন। বিয়ের অনেক বছর পরও তারা একজন আরেকজনকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। অন্যের পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখেন। একজন আরেকজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। এ জন্য সবাইকে শক্তিশালী দাম্পত্য সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য জানা দরকার।

একজন আরেকজনের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করা। ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকা। ধরুন, একজন কোনো একটা সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু আপনি নিশ্চিত যে, আপনার সঙ্গী ঠিকই যথাযথভাবে সেটির সমাধান করে সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন।

দু’জনে মজা করা, একসঙ্গে হাসা। মনে রাখবেন, একটুখানি হাস্যরসের ইতিবাচক শক্তি অসীম। একসঙ্গে হাসা আপনাদের দুজনের বন্ধনকে গভীর আর শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে যেকোনো সম্পর্কের জন্য এটা সত্য।

একসঙ্গে কাউকে সাহায্য করা। ‘অ্যাক্ট অব কাইন্ডনেস’ও শক্তিশালী বন্ধনের অন্যতম ভিত্তি। দু’জনে ঘুরে বেড়ানো। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়া। রঙিন স্মৃতি জমানো।

দু’জনে মিলে কঠিন সময় সামাল দেওয়া। সেটি হতে পারে অর্থনৈতিক বিপর্যয় বা সন্তানের অসুস্থতা, পারিবারিক সংকট কিংবা যে কোনো সংকট পাড়ি দেওয়া। যে কোনো ঝগড়া, কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্যের পর দ্রুত সেরে ওঠা।

সঙ্গীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক আকর্ষণ অনুভব করা। প্রতিদিন শারীরিক স্পর্শে বাঁচা। হাত ধরে হাঁটা বা বাইরে থেকে এসে জড়িয়ে ধরা, রাতে ঘুমানোর সময় আলিঙ্গন করা… কোনো একটা কিছু ঘটনা ঘটার পর সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার না করা পর্যন্ত অনেকের ‘পেটের ভাত ঠিকমতো হজম হয় না’Ñ এটা শক্তিশালী বন্ধনেরই বৈশিষ্ট্য।

এমন কিছু গোপন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়া, যেসব কেবল আপনারা দুজনই জানেন। এবং কেবল নিজেদের ভেতরে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

প্রয়োজনীয় বা দরকারি বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি পুরোনো ছবি, স্মৃতি, মজার রিলস বা ভিডিও পাঠানো কিংবা ভালোবাসার কথা জানানো অথবা মনের গভীরের কোনো অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া। একজন আরেকজনকে ‘থ্যাংক ইউ’, ‘আই লাই ইউ’ বলা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ঘরের কাজ দু’জনে মিলে ভাগাভাগি করে করা। সঙ্গীর ছোট ছোট জয় বা সাফল্য দু’জনে মিলে উদ্যাপন করা।

দু’জনে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। অর্থাৎ একই সঙ্গে দিন শুরু করা ও শেষ করা। কেননা দিনের এ দুটি সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: স্মার্ট কাপলস।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ